১ নভেম্বর থেকে বুয়েটের হল খোলার দাবি

আগামী ১ নভেম্বর থেকে ভ্যাক্সিন নেওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য হল খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এক মানববন্ধনে এই দাবি জানান তারা। তবে ভর্তি পরীক্ষার চলার কারণে ৬ নভেম্বরের আগে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসার সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছে বুয়েট কর্তৃপক্ষ।
মানবন্ধনে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা জানান, দেশের প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের এক ডোজ টিকা নেওয়ার শর্তে আবাসিক হল-ক্যাম্পাস খুলে দিয়েছে। অথচ বুয়েট প্রশাসন এখনো অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছে। আমরা অনলাইনে ক্লাস করতে চাই না।
বুয়েট শিক্ষার্থী তাহমিদ হোসাইন বলেন, আমাদের ভ্যাক্সিনেশনের হার অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর থেকে বেশি হওয়া সত্ত্বেও হল খুলে দেওয়া হচ্ছে না। ১৩ তারিখ থেকে ক্লাস শুরু হলেও ডিসেম্বর থেকে হল খোলার কথা বলা হয়েছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা শিক্ষার্থীরা বিরক্ত। কারণ হল না খুলে ক্লাস শুরু হলে অনেক শিক্ষার্থীই ক্লাস করতে পারবে না। তাই আমাদের দাবি ১ নভেম্বর থেকেই ভ্যাক্সিন নেওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য হল খুলে দিতে হবে। দাবি মানা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
মানববন্ধন শেষে বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক বরাবর হল খোলার দাবিতে একটি আবেদনপত্র পেশ করেন শিক্ষার্থী। আবেদনপত্রের সাথে প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থীর হল খোলার পক্ষে করা স্বাক্ষর সংযুক্ত করা হয়।
আবেদনপত্রে বলা হয়, গণমাধ্যমে আসা তথ্য অনুযায়ী, আগামী ১৩ নভেম্বর থেকে আমাদের ক্লাস শুরু হবে। কিন্তু আবাসিক হল না খুলে ক্লাস শুরু করলে গত সেমিস্টারের মতই আমাদের অনেক সহপাঠী ক্লাস করতে অপারগ হবে। কেননা গত সেমিস্টারের ইন্টারনেট সংযোগের অভাব, অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে আবাসস্থলের ব্যবস্থা করতে দুর্ভোগ ইত্যাদি সমস্যা এখনও বিরাজমান। এই পরিস্থিতিতে ১ নভেম্বর থেকে ধাপে ধাপে ডাবল ডোজ, সিঙ্গেল ডোজ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হওয়ার পূর্বেই আবাসিক হলে থাকার সুযোগ দেয়ার মাধ্যমে আমাদের সকলের আবাসিক হলে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু করলে সকলের জন্য ক্লাসে অংশগ্রহণ করা সহনীয় হবে।
জানতে চাইলে বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের আবেদনপত্রের বিষয়ে উপাচার্যকে অবহিত করেছি। আমাদের এখন একটি সিদ্ধান্ত আছে ১৩ নভেম্বর থেকে ক্লাস শুরুর চার সপ্তাহ পর হল খুলে দেওয়ার। এই সিদ্ধান্ত পূনর্বিবেচনার জন্য একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে বসতে হবে। এখন ভর্তি পরীক্ষা চলছে। তাই ৬ নভেম্বরের পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।