১০ লক্ষ টাকা মূল্য হাকা ষাঁড় কালাপাহাড়ের ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না

১০ লক্ষ টাকা মূল্য হাকা ষাঁড় কালাপাহাড়ের ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না

বরগুনার আমতলী উপজেলার শ্রেষ্ঠ ষাঁড় কালাপাহাড়ের কোন ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। কোরবাণীর হাটে ১০ লক্ষ টাকা মূল্য হাকা কালাপাহাড়ের জন্য প্রাণী সম্পদের অনলাইন গবাদী পশুর হাটেও কোন ক্রেতা খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। এতে বিপাকে পড়েছে কালাপাহাড় ষাঁড়র মালিক প্রবাসী গাজী আলমগীর হোসেন।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের বাসিন্ধা মমিন গাজীর পুত্র সৌদি প্রবাসী গাজী আলমগীর হোসেন দীর্ঘ ১৬ বছর প্রবাস জীবন কাটিয়ে ২০১৮ সাথে দেশে ফিরে আসেন। দেশে এসে গাভী পালনের সিন্ধান্ত নেন। ওই বছর প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের পরামর্শে ঝিনাইদহ থেকে ৯ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা ব্যয়ে ৫টি গাভীন গরু ক্রয় করে নিয়ে এসে গাজী ডেইরি ফার্ম নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। ওই বছরই তার প্রতিষ্ঠানে জন্ম হয় কালাপাহাড়ের। গত ২ বছর ৬ মাসে প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের পরামর্শে কালাপাহাড় দৈত্যে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে ওর ওজন হয়েছে প্রায় ৩০ মন। চলতি বছরের ৫ জুনে অনুষ্ঠিত উপজেলা প্রাণী সম্পদ প্রর্দশণীতেও কালাপাহাড় ষাড় ক্যাটাগরিতে উপজেলার শ্রেষ্ঠ ষাড়ের পুরুস্কার পায়।

কিন্তু কালাপাহাড় ষাড়ের মূল্য ১০ লক্ষ টাকা হাকা হলেও এর কোন ক্রেতা নেই আমতলীতে। প্রাণী সম্পদের অনলাইন গবাদী পশুর হাটেও এর কোন ক্রেতা খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। এতে কালাপাহাড়কে নিয়ে বিপাকে পড়েছে মালিক প্রবাসী গাজী আলমগীর হোসেন।

গাজী ডেইরি ফার্মের মালিক প্রবাসী গাজী আলমগীর হোসেন মুঠোফোনে বলেন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের বুদ্ধি পরামর্শে অনেক আদর যতœ করে কালোপাহাড়কে বড় করেছি। আড়াই বছরে কালাপাহাড়ের ওজন প্রায় ৩০ মন হলেও স্থাণীয়ভাবে ওকে বিক্রি করার জন্য কোন ক্রেতা খুজে পাচ্ছি না। প্রাণী সম্পদের অনলাইন গবাদী পশুর হাটেও এখন পর্যন্ত  কালাপাহাড়ের কোন ক্রেতা খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। একারনে গরুটি নিয়ে চিন্তায় আছি। একে লালন পালন করা খুবই কষ্ঠসাধ্য। কোরবাণীর হাটে ১০ লক্ষ টাকা দাম হেকেছি ন্যায্য মূল্য পেলে বিক্রি করে দিবো।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা অভিজিদ কুমার মোদক বলেন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ প্রর্দশণীতে ষাড় ক্যাটাগরীতে শ্রেষ্ঠ পুরুস্কার পাওয়া কালাপাহাড়কে বিক্রির জন্য স্থাণীয়ভাবে কোন ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা আমাদের প্রাণী সম্পদের অনলাইন গবাদী পশুর হাটেও ক্রেতা খুজছি। বিক্রি করতে না পারলে কালাপাহাড়কে নিয়ে মালিক খুবই সমস্যায় পড়ে যাবে।