১১ দিন বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ

ঈদযাত্রায় লঞ্চে কোনো মোটরসাইকেল উঠানো যাবেনা। সেইসঙ্গের লঞ্চ ও ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখা ও দুর্ঘটনা এড়াতে ১১ দিন নদীতে বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন নৌ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি শফিকুল ইসলাম।
রোববার গুলশানে নৌপুলিশ হেডকোয়াটার্সের কনফারেন্স রুমে পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষ্যে নৌপথে আইন শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি জানান, ১৭-২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ১১ দিন বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে। লঞ্চ চলাচলের সময় মাছ ধরার জাল যাতে ছড়ানো না থাকে সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। এধরনের কোনো কাজ করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নিতে হবে।
শফিকুল ইসলাম আরও জানান, খেয়া নৌকা দিয়ে পারাপার সাবধানতার সঙ্গে করতে হবে। এ সময়ে লঞ্চ চলাচল ও মালামাল আনা নেয়া বেড়ে যায়। যাতে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে সে ব্যবস্থা নিতে হবে। শেষ সময়ে গার্মেন্টসগুলোতে ছুটি হয়। সে কারণে লঞ্চে চাপ বাড়বে। চাঁদপুর, বরিশালসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় যাত্রীর চাপ পড়ে। তাই এসময়ে লঞ্চে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা থেকে বিরত রাখতে হবে।
ঈদে নৌপথে আইন শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা ।
আইন কঠোরভাবে পালন করার চেষ্টার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আইন প্রয়োগ না করলে সঠিকভাবে কিছু হয় না।
এসময় লঞ্চ মালিকদের পক্ষ থেকে মোটরসাইকেল বহন করার কথা জানিয়ে বলা হয়, লঞ্চঘাটে মোটরসাইকেল যাতে না প্রবেশ করতে পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে।
এছাড়া, সদরঘাটে বিআইডব্লিওটিএর পার্কিং লটে স্থানীয় ফলের গাড়ি, ভ্যান ও বিভিন্ন ধরনের বাহন দিয়ে ভর্তি থাকে। এর ফলে কোনো প্রাইভেট গাড়ি যাত্রী নিয়ে আসতে পারে না। যাতে এই পার্কিং গাড়ির জন্য ব্যবহার করা যায় সে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।