২৩ হাজার বন্দির মুক্তি মিয়ানমারে

২৩ হাজার বন্দির মুক্তি মিয়ানমারে

নতুন বছর উদযাপনের মুহূর্তে সাধারণ ক্ষমার অংশ হিসেবে ২৩ হাজার ১৮৪ জন বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। কারাগার কর্তৃপক্ষের একজন মুখপাত্র এই খবর নিশ্চিত করেছেন।

আল-জাজিরা জানিয়েছে, মুক্তি পাওয়াদের মধ্যে চলমান জান্তাবিরোধী আন্দোলনকারীদের সংখ্যা খুব কম।

মিয়ানমারের ঐতিহ্যবাহী বছরের প্রথমদিন গতকাল শনিবার । এ উপলক্ষে দেশটিতে পাঁচদিনের যে ছুটি থাকে তার শেষ দিন চলছে । দিনটিতে বৌদ্ধ মন্দিরে শতশত মানুষ উৎসবে মাতেন।

কিন্তু এবার গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকারীরা সব ধরনের উৎসব বাতিল করে সাধারণ মানুষকে রাস্তায় থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

১ তারিখের অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী সুচি-সহ প্রায় সাড়ে তিন হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।

সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে মান্দালে শহরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী তাইজার সান বিবিসিকে জানান, বিক্ষোভকারীদের হামলা করার জন্যই বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন।

তিনি বলেন, ‘জনগণের কাছে খুব খারাপ নজির আছে। ১৯৮৮ সালে সামরিক জান্তা সামরিকপন্থী বন্দিদের মুক্তি দিয়েছিল। সেসময় তারা গণতন্ত্রের পক্ষে জনগণের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকে নষ্ট করে।’

১৯৮৮ সালের গণতন্ত্রপন্থী বিদ্রোহে হামলার ঘটনায় কয়েক হাজার মানুষ মারা যান বলে ধারণা করা হয়।

জাতীয় দিবসগুলোতে বহু বন্দিকে ক্ষমা করে দেওয়ার বিষয়টি দেশটিতে প্রচলিত আছে। প্রায়শই উপচে পড়া কারাগারে বন্দির সংখ্যা কমাতে এটি করা হয়ে থাকে।