৭ ব্যাংকের পরীক্ষায় সংশয়

৭ ব্যাংকের পরীক্ষায় সংশয়

আগামী ৫ ডিসেম্বর সমন্বিত সাত ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি (বিএসসি) পরীক্ষা আয়োজনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিলেও এখনো চূড়ান্ত অনুমতি মেলেনি। এর ফলে নির্ধারিত তারিখে পরীক্ষা আয়োজন নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।

বিএসসি’র সদস্য সচিব আরিফ হোসেন খান শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, আমরা আগামী ৫ ডিসেম্বর ৭টি সরকারি ব্যাংকের পরীক্ষা আয়োজনে সরকারের কাছে আবেদন করেছি। তবে এখনো আমাদের অনুমতি দেয়া হয়নি।

সরকারের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৭টি ব্যাংকের পরীক্ষায় প্রায় দেড় লাখ প্রার্থী পরীক্ষার্থী অংশ নেবেন। এত বিপুল সংখ্যক মানুষের এক স্থান থেকে অন্যস্থানে যাতায়াতের ফলে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই আশঙ্কা থেকেই এখনো এই পরীক্ষার অনুমোদন দেয়া হয়নি। বিষয়টি নিয়ে ভাবা হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, গতকাল (শুক্রবার) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ’র ইভিনিংয়ের ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে সেটি স্থগিত করা হয়। সেখানে মাত্র ৮-১০ হাজার প্রার্থী ছিল। এত অল্প সংখ্যক প্রার্থীর ক্ষেত্রে পরীক্ষা আয়োজনের অনুমতি দেয়া হয়নি। আর ৭টি ব্যাংকে পরীক্ষা দেবে ১ লাখ ৪০ হাজার প্রার্থী। ফলে এত বিপুল সংখ্যক প্রার্থীর পরীক্ষা আয়োজনে অনুমতি নিয়ে তিনিও সন্দেহ প্রকাশ করেন।

তবে চাকরিপ্রত্যাশী ও পরীক্ষার্থী মো. রাসেল রানা বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘ আট মাস ব্যাংক পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। অথচ সরকারি ব্যাংগুলোর অভ্যন্তরে পদোন্নতির পরীক্ষাগুলো ঠিকই হচ্ছে। তিনি এজন্য যথা সময়ে পরীক্ষা নেয়ার দাবি জানান।

এদিকে বিএসসি’র পরীক্ষা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আমাদের পরীক্ষা আয়োজনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিশ্চিত করার বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ৬৫টি থেকে ৬৭টি কেন্দ্র ঠিক করে রাখা হয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্রে একটি বেঞ্চে এক থেকে দু’জনকে বসানো হবে। মাস্ক ছাড়া কোনো পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।