৭৫ বার পেছালো সাগর-রুনি হত্যার প্রতিবেদনের সময়

৭৫ বার পেছালো সাগর-রুনি হত্যার প্রতিবেদনের সময়

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ ফের পি‌ছিয়েছে।  

বুধবার (১৪ অক্টোবর) এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল।
গত ৩ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাইকোর্টে দা‌খিল করা অগ্রগতির প্রতিবেদনে বলেন, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডে দু’জন অপরিচিত ব্যক্তি জড়িত। সাগরের হাতে বাঁধা চাদর এবং রুনির টি-শার্টে ওই দুই ব্যক্তির ডিএনএ থাকার প্রমাণ মিলেছে।

তবে নির্ধা‌রিত দিনে প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) তদন্ত কর্মকর্তা। তাই ঢাকার মেট্রোপ‌লিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী আগাম‌ী ২২ নভেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের নতুন দিন ধার্য করেন। এনিয়ে ৭৫ বার পেছালো প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ওই বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি রুনির ভাই নওশের আলী রোমান বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। প্রথমে মামলাটির তদন্ত করেন শেরেবাংলা নগর থানার একজন কর্মকর্তা। ১৬ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত ভার পড়ে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) উত্তরের পুলিশ পরিদর্শক মো. রবিউল আলমের ওপর। 

অপরাধীদের শনাক্ত করতে ডিএনএ রিপোর্ট প্রস্তুতকারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দু’টি ল্যাব যথাক্রমে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফরেনসিক সার্ভিস এবং প্যারাবন স্ন্যাপশট ল্যাব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বর্তমানে যোগাযোগ রাখা হয়েছে। প্রতিষ্ঠান দু’টি ডিএনএ’র মাধ্যমে অপরাধীর ছবি বা অবয়ব প্রস্তুতের প্রচেষ্টায় কাজ করে যাচ্ছে।

দুই মাস পর হাইকোর্টের আদেশে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় র‌্যাবকে। সেই থেকে আট বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা সম্ভব হয়নি।  


ভোরের আলো/ভিঅ/১৪/২০২০