‌‌‘সুশান্ত আর আমি স্বামী-স্ত্রীর মতোই থাকতাম’

‌‌‘সুশান্ত আর আমি স্বামী-স্ত্রীর মতোই থাকতাম’

বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত ১৪ জুন আত্মহত্যা করেছেন। নিজ গৃহে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে তার মরদেহ। তবে সুশান্তের এই মৃত্যুকে আত্মহত্যা মেনে নিতে চাইছেন না তার ভক্ত-অনুরাগীরা। তাদের দাবি, ষড়যন্ত্র করে মেরে ফেলা হয়েছে এই অভিনেতাকে।

আর সম্প্রতি সরাসরিই সুশান্তের মৃত্যুর জন্য দায়ী এই অভিযোগের আঙুল উঠছে তার প্রেমিকা রিয়া চকবর্তীর বিরুদ্ধে। সুশান্তের বাবা তো সরাসরিই রিয়াকে খুনি বলেছেন গণমাধ্যমে।

এদিকে দীর্ঘদিনের নিরবতা ভেঙ্গে সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে মুখ খুলেছেন বাঙালি অভিনেত্রী রিয়া। তিনি সুশান্তের সঙ্গে সম্পর্ক স্বীকার বলেছেন, ‘সুশান্ত আর আমি স্বামী-স্ত্রীর মতো থাকতাম।’

ইন্ডিয়া টুডেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, পরিচালক-প্রযোজক মহেশ ভাটের সঙ্গে সুশান্ত আর তার সম্পর্ক নিয়ে কোনো মেসেজ বিনিময় করেননি তিনি। সুশান্তকে ছাড়ার বিষয়ে মহেশ ভাট তাকে মদত দিয়েছিলেন এ কথাও ভিত্তিহীন। সুশান্তের ব্যক্তিগত গাড়ি চালককে তাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগটিও মিথ্যে বলে দাবি করেছেন রিয়া। নায়িকা বলেন, ‘গাড়ির চালক আমি তাড়াইনি। আমি ভাবতেই পারিনি সিদ্ধার্থ আমার সম্পর্কে বানিয়ে বানিয়ে এমন কথা বলতে পারে! আমাকে নিয়ে অবশ্য এখন যে যা পারছে বলছে, লিখছে। তবে আমি কোনো ড্রাইভার বদলাইনি, কাউকে আনিওনি। আমি চলে আসার পর সুশান্তের দিদি ড্রাইভার বদল করেছে। কারণ তিনিই তখন বাড়িতে ছিলেন।’

সুশান্তের কোম্পানি নিয়ে রিয়া এবং তার ভাই শৌভিকের ভূমিকা ঘিরে নানা গুজব ছড়িয়েছে। এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রীর বক্তব্য, ‘শৌভিককে খুবই ভালবাসতো সুশান্ত। এ জন্য আমি ওকে আমার সতিন বলতাম। সুশান্তের জেদেই আমাদের ইতালি ট্রিপে শৌভিককে নেয়া হয়েছিল। পরে সুশান্ত আমাদের দুজনকে ওর ড্রিম প্রজেক্টে যুক্ত করে। এই কোম্পানির জন্য আমরা দুজনও সমান টাকা সুশান্তকে দেই। এরপর আমরা তিনজন মিলে রিলেটিক্স নামের সংস্থাটি শুরু করি। তিনজনেরই এতে ৩৩.৩৩ শতাংশ টাকা দিতে হয়েছিল। আমার ভাইয়ের চাকরি ছিল না বলেই ওর টাকা আমি ওর ব্যাংকে ট্রান্সফার করি। সুশান্তের কোম্পানি সংক্রান্ত শুধু এই লেনদেন হয়েছে আমাদের। বাকি সব মিথ্যা।’

সুশান্তের সঙ্গে ইউরোপ ট্রিপ সম্পর্কে রিয়া বলেন, ‘আমার আর সুশান্তের ইউরোপ ট্রিপ নিয়ে যা খুশি তাই বলা হচ্ছে। সুশান্তের সব টাকা যেন আমিই নষ্ট করেছি। কেন লোকে বলবে আমি ওর টাকায় চলেছি? বরং বলব, এটা ওর সিদ্ধান্ত! আমরা স্বামী-স্ত্রীর মতো থাকতাম। সুশান্ত ভালোবাসা থেকেই সব খরচ করত। আমিও অনেক খরচ করেছি।’