‌‘তাদের আয়ুষ্কাল ফুরিয়ে এসেছে’

‌‘তাদের আয়ুষ্কাল ফুরিয়ে এসেছে’

বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা, মামলা ও গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘কর্তৃত্ববাদী সরকার বুঝতে পেরেছে যে তাদের আয়ুষ্কাল ফুরিয়ে এসেছে। আর এ কারণেই তারা এখন বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের মরণকামড় দিতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।’

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আউয়াল এবং উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মাসুম বিল্লাহকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত নেতারা সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। তবে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর ভোটারবিহীন আওয়ামী সরকারের নির্যাতন-নিপীড়ন যত বাড়বে, প্রতিবাদের ঝড়ের গতি ততই তীব্র হবে।’

ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘দেশের মানুষ যখন গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা, তখন বর্বর ফ্যাসিস্ট সরকার নির্বিচারে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষকে মামলা, হামলা, গ্রেপ্তার, রিমান্ডে নিয়ে অমানসিক নির্যাতন ও কারাবন্দী করা অব্যাহত রেখেছে। দেশব্যাপী নেতা-কর্মীদের বাড়িতে তল্লাশির নামে হয়রানি করা হচ্ছে। সার্বিক অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, বাংলাদেশ নামক স্বাধীন-সার্বভৌম দেশটি এখন মগের মুল্লুক। বর্তমান শাসকগোষ্ঠী দেশকে বিরোধী দলশূন্য করে নিজেদের একচ্ছত্র শাসন দীর্ঘায়িত করার গভীর চক্রান্তে লিপ্ত। বিএনপি দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। এই দলটিকে ধ্বংস করে দেশে এক ব্যক্তির শাসন কায়েম করতেই বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীকে কারারুদ্ধ করার মাধ্যমে লক্ষ্য বাস্তবায়নে নিরন্তর অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।’

বিবৃতিতে অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার এবং তাঁদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।

নেত্রকোনার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে পৃথক বিবৃতিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘আওয়ামী সরকার ফ্যাসিবাদী কায়দায় দেশ শাসনে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। মানবতাবিরোধী সব কর্মকাণ্ডে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দয়ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ভোট ছাড়াই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা জবরদখলকারী বর্তমান গণবিচ্ছিন্ন সরকার তাদের বেসামাল অবস্থাকে সন্ত্রাসী কায়দায় সামাল দেওয়ার জন্যই বিএনপির নেতা-কর্মীদের কারাগারে আটকিয়ে রাখার কূটকৌশল গ্রহণ করেছে।’