‘বিশ্বব্যাংকের ভবিষ্যদ্বাণী অসামঞ্জস্যপূর্ণ’

বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির এক বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘কখনও কখনও তারা ভবিষ্যদ্বাণী করে এবং পরে সময় সময় তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে।’
বিশ্ব ব্যাংক ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১.৬ শতাংশ হবে বলে তাদের এক পূর্বাভাসে জানায়। যেখানে জাতীয় বাজেটে সরকার জিডিপি প্রবৃ্দ্ধি ৭.৪ শতাংশ নির্ধারণ করেছে।
বিশ্বব্যাংকের এমন পূর্বাভাসকে উড়িয়ে দিয়ে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বলতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ পৃথিবীর অনেক দেশের তুলনায় ভালো আছে।
আমদানি বাদে সব খাতই ভাল করছে। আমদানি কমে যাওয়ায় রাজস্ব আদায়ও কমে গেছে।’
অর্থমন্ত্রী জানান, তারপরও সরকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবে এবং রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ উন্নতিতে বেশ কিছু ব্যবস্থা নেবে।
কালো টাকা সাদা করা প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংকের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনকে আগ্রাহ্য করে অর্থমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের এই মহামারিকালে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা সাদা হয়েছে। এটা ভালো দিক, কারণ এটি (কালো টাকা সাদা) অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার তৈরি করবে। আমাদের উদ্দেশ্য সফল হয়েছে।’
এসময় অর্থমন্ত্রী স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, চলতি অর্থ বছরের বাজাটেও কালো টাকা সাদা করার বিধান রাখা হয়েছিল।
‘আমাদের পলিসির কারণে এই টাকা কালো হয়েছে’ উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, উচ্চ রেজিস্ট্রেশন ফি এবং উচ্চ স্ট্যাম্প শুল্কের কারণে ফ্ল্যাট ও জমি কেনার পরে লোকজন রেজিস্ট্রেশন করতে আগ্রহী ছিল না।’
অর্থমন্ত্রীর দাবি, সরকার স্ট্যাম্প শুল্ক এবং নিবন্ধন ফি হ্রাস করার পরে মানুষ এখন তাদের রিয়েল এস্টেট সম্পত্তি নিবন্ধন করছে।
এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, অটোমেশন না হওয়া পর্যন্ত আয়কর রিটার্নি এবং আয়কর দাতাদের মধ্যেকার সৃষ্ট গ্যাপ পূরণ হবে না।
বাংলাদেশে মোট আয়কর রিটার্নির সংখ্যা পাঁচ মিলিয়ন, যেখানে আয়কর দাতার সংখ্যা মাত্র ২.৫ মিলিয়ন। খবর: ইউএনবি।