‘ইউক্রেনে থামবে না রাশিয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা’

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি হুঁশিয়ারি জানিয়ে বলেছেন, রাশিয়ার নজর ইউরোপের অন্যান্য দেশেও রয়েছে। দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার নতুন আক্রমণের মুখে প্রতিরোধের চেষ্টারত ইউক্রেনীয় সেনারা যদি তা ঠেকাতে না পারে তাহলে তারা অন্য দেশেও হামলা করতে পারে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এখবর জানিয়েছে।
শুক্রবার মধ্যরাতের পর এক বিবৃতিতে জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ ছিল শুরু মাত্র। তারা অন্য দেশও দখল করতে চায়।
বিবৃতিতে পুনরায় তিনি পশ্চিমাদের কাছ থেকে আরও বেশি অস্ত্র ও সহায়তা চেয়েছেন।
অবরোদ্ধ মারিউপোলে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর দেশটির সেনারা ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের আরও পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। ফেব্রুয়ারিতে আক্রমণ শুরুর পর এই অঞ্চলেই রুশ সেনারা সবচেয়ে বেশি সাফল্য পেয়েছে।
এর আগে শুক্রবার রুশ সেনাবাহিনীর এক জেনারেল বলেছেন, মারিউপোল-ক্রিমিয়া- ট্রান্সনিস্ট্রিয়া পর্যন্ত একটি স্থল করিডোর স্থাপন করতে চায় রাশিয়া। ট্রান্সনিস্ট্রিয়া রুশ সমর্থিত একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চল, মলডোবার অভ্যন্তরে এটির অবস্থান। রুশ ভাষাভাষীদের সহযোগিতার জন্য মস্কোর সহায়তায় এই অঞ্চল গড়ে তোলা হয়েছে।
রাশিয়ার কেন্দ্রীয় সামরিক জেলার ডেপুটি কমান্ডার মেজর জেনারেল রুস্তম মিনেকায়েভের এই বিবৃতিত রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। তবে এই বিষয়ে রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এই বিবৃতিতে রাশিয়া যে ইউরোপের অভ্যন্তরে সোভিয়েত ইউনিয়ন আমলের প্রভাব পুনরায় প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে তার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। রুশবিরোধী লড়াইয়ে সহযোগিতা চাইতে গিয়ে পশ্চিমাদের কাছে এমন দাবি ইউক্রেন বারবার করে আসছিল।
মলডোবা থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া ট্রান্সনিস্ট্রিয়াতে রুশ সেনারা শান্তিরক্ষী হিসেবে অবস্থান করছে।
ইউক্রেনের আজভ সাগরের উপকূলীয় অঞ্চলে সম্প্রতি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে রাশিয়া। এখন থেকে তারা কৃষ্ণ সাগরের উপকূলে পশ্চিম দিকে এগোতে চাইছে। কিন্তু বন্দর নগরী ওডেসার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে ইউক্রেনের হাতে। যা মলডোভা ও মাইকোলাইভ সীমান্তের কাছে অবস্থিত। মাইকোলাইভে রুশ সেনাদের ঠেকাতে লড়াই করছে ইউক্রেনীয় সেনারা। মারিউপোলের আজভস্টল স্টিল কারখানার টানেল ও ভূগর্ভস্থ বাংকারে এখনও অজ্ঞাত সংখ্যক ইউক্রেনীয় সেনা অবস্থান করছে।