‘এলার্ট-৩’ জারি চট্টগ্রাম বন্দরে

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসার কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে জারি করা হয়েছে বিশেষ সতর্কতা এলার্ট-৩।
বন্দর সূত্র জানায়, আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য ছয় নম্বর বিপদ সংকেত দেওয়ার পরপরই সোমবার চট্টগ্রাম বন্দরে বিশেষ সতর্কতা ‘এলার্ট-৩’ জারি করা হয়েছে। বন্দর জেটিতে বার্থিং নেয়া জাহাজগুলোতে পণ্য উঠানামা চালু থাকলেও নতুন করে কোন জাহাজ বার্থিং দেওয়া হচ্ছে না। কর্ণফুলি নদীতে অবস্থানরত জাহাজগুলো একে একে কর্ণফুলী নদীর উজানে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে শুরু করেছে জাহাজ। বহির্নোঙ্গরে থাকা লাইটারেজ জাহাজগুলো বড় জাহাজ থেকে পণ্য খালাস করলেও নতুন করে লাইটারেজ জাহাজ সেখানে যাচ্ছে না। তবে বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারি অব্যাহত রয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যা ৭টার সময়ও বন্দর থেকে কন্টেইনারবাহী লরি ও পণ্যবাহী কাভার্ড ভ্যান বের হতে দেখা গেছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) জাফর আলম দেশ রূপান্তরকে বলেন, অপারেশনাল কার্যক্রম এখনো পুরোপুরি বন্ধ করা হয়নি। মঙ্গলবার জেটিগুলো জাহাজশূণ্য করা হবে। সবগুলো জাহাজ নিরাপদ অবস্থানে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
বন্দর থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, সোমবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী চট্টগ্রাম বন্দরে মোট জাহাজ রয়েছে ৭৯টি। এর মধ্যে বন্দর জেটিতে ১৮টি ও বহির্নোঙ্গরে অবস্থানরত জাহাজের সংখ্যা ৬১। এর মধ্যে বহির্নোঙ্গরে ২৪টি জাহাজ থেকে সোমবার সকালের দিকে পণ্য খালাসের কাজ চললেও বিকেলের দিকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত জারির পর তা কমে আসে। সোমবার সকালের হিসাবে বন্দরে মোট কন্টেইনার রয়েছে ৪৪ হাজার ৫২৪টি।
ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনও প্রস্তুতি শুরু করেছে। সোমবার দুপুওে জরুরি সভা করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি।
জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপকূলীয় উপজেলাগুলোতে আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি সতর্ক সংকেত বাড়লে স্থানীয় বাসিন্দারা যাতে এসব আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিতে পারে, সেভাবে প্রস্তুতি নিতে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।