‘বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদ দুর্ধর্ষ প্রকৃতির লোক’

‘বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদ দুর্ধর্ষ প্রকৃতির লোক’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি ক্যাপ্টেন (অব.) আব্দুল মাজেদ দুর্র্ধষ প্রকৃতির লোক বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিল, একটি স্বপ্নকে হত্যা করার চেষ্টা করেছিল, ক্যাপ্টেন মাজেদ ছিল তাদের অন্যতম।’

তিনি আরও বলেন, ‘সে একটা দুর্র্ধষ প্রকৃতির লোক। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা ছাড়া যারা বিদেশে ছিলেন, বাকি সবাইকে হত্যা করে ফেলেছিল। এমনকি খুনি মাজেদ আমার এপিএস ১৯৭৩ ব্যাচের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শফিকুল আলম মিন্টু, তাকে গ্রেপ্তার করে, নির্যাতন করে তাকে হত্যা করে তার লাশ বুড়িগঙ্গা নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছে।’

আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান এ নেতা আরও বলেন, ‘আমি ওর ফাঁসি চাই। ও কেবল বঙ্গবন্ধুর খুনের সঙ্গে জড়িত নয়, পরে আরো অনেক আওয়ামী লীগ নেতার ওপর অত্যাচার করেছে ও। ও একটা খুনি। ওর দ্রুত ফাঁসি চাই। এই মাজেদের ফাঁসির রায় কার্যকর করলে জাতির মনের আশা পূরণ হবে। তাকে গ্রেপ্তারের মধ্যে দিয়ে বাঙালি জাতি আজ উল্লসিত হয়েছে।’

এর আগে সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি ক্যাপ্টেন (অব.) আব্দুল মাজেদকে মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পলাতক ছয় আত্ম-স্বীকৃত খুনির মধ্যে তিনি অন্যতম।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ৩৪ বছর পর এ হত্যাকা-ের বিচার হয়েছে ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বর। খুব ধীরে দীর্ঘ বারো বছরে নিম্ন আদালত থেকে শুরু করে আইনের প্রতিটি ধাপ স্বচ্ছতার সঙ্গে অতিক্রম করে সর্বোচ্চ আদালতের মাধ্যমে স্বঘোষিত খুনিদের মৃত্যুরদণ্ডের রায় দেওয়া হয়। মৃত্যুদ-প্রাপ্ত ১২ আসামির মধ্যে কারাবন্দী পাঁচ আসামির ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি দিবাগত রাতে ফাঁসি কার্যকর হয়। তারা হলেন সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, মুহিউদ্দিন আহমেদ, বজলুল হুদা ও এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ।