‘ষড়যন্ত্র নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না’

‘ষড়যন্ত্র নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না’

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী এবং তার মনোনীত প্রার্থীদের এই দেশের মানুষ ভোট দিবে। কোনও ষড়যন্ত্র নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না। ভোট অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের যাত্রা অব্যাহত থাকবে।’

সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে ময়েজউদ্দিন স্মৃতি সংসদ আয়োজিত ‘গণতন্ত্র ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গঠনে শান্তি এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনপ্রতিনিধিদের ভুমিকা’ শীর্ষক এক আলোচনা ও স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আমির হোসেন আমু বলেন, ‘যাদের বিরুদ্ধে আমরা গণতন্ত্রের সংগ্রাম করেছি, যারা সামরিকতন্ত্রের মাধ্যমে স্বৈরশাসন চালু করেছে। তারা আজকে গণতন্ত্র শেখাতে চায়।’

তিনি বলেন, 'বিএনপি দুইটা কথা বলে; একটা হলো সংবিধান পাল্টানো দরকার, আরেকটা হলো পাকিস্তান সরকারই ভালো ছিল। জিয়া সংবিধান সংশোধন করে সাম্প্রদায়িকতা প্রবেশ করিয়েছিল। আমরা নেত্রীর (শেখ হাসিনা) নেতৃত্বে সেটি সংশোধন করেছিলাম। তাহলে তারা কি আবার এটি সংশোধন করতে চায়?’

তিনি আরও বলেন, ‘তারা (বিএনপি) পাকিস্তানের প্রেতাত্মা। তাদের যে পাকিস্তানের প্রতি প্রেম এটা তারা জিয়ার আমল থেকে ধারণ করে এসেছে। এই বক্তব্য তার প্রমাণ। তারা রাজনৈতিক ভ্যাকুয়াম সৃষ্টি করতে চায়। তাই দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে।’

আওয়ামী লীগ উপদেষ্টামণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দিয়ে আসলেন, আমি মনে করি আমাদের জাতিকে আরও সমাদ্দিত করেছে৷ মূল্যায়ন করেছে এবং আমাদের বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে বৃদ্ধি করেছেন। উনার নেতৃত্ব হাতে গোনা কয়েকটা রাষ্ট্র নায়কের মধ্যে প্রতিষ্ঠ করতে সক্ষম হয়েছে।'

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ‘মরহুম জিয়াউর রহমান রাজনীতিতে সন্ত্রাস আমদানি করেছিলেন। শফিউল আলম প্রধানকে তিনি রাজনীতিতে এনেছিলেন। ময়েজউদ্দিন সাহেবের হত্যাকাণ্ডের পর তিনি তাকে (শফিউল আলম প্রধান) আবার রাজনীতিতে এনেছেন।'

তিনি বলেন, 'বিএনপি এবং জাতীয় পার্টি সন্ত্রাসকে রাজনীতিতে আনার ক্ষেত্রে মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। এটা আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি।'

সাবেক এই খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে যারা নির্বাচনে আসতে চায় না, তাদের রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত করতে হবে। এরা আন্তর্জাতিকভাবেই চিহ্নিত সন্ত্রাসী দল। এরা নির্বাচনি ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে। নির্বাচনকে বানচাল করতে চায়। এই অপশক্তিকে রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।’

মেহের আফরোজ চুমকির সভাপতিত্বে আলোচনা ও স্মরণ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট মোজাফফর হোসেন পল্টু, দ্যা ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, শহীদ ময়েজউদ্দিন স্মৃতি সংসদের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া প্রমুখ।