অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার উদ্যোগ চলবে আগামী অর্থবছরও

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, করোনা মোকাবিলা ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে নেওয়া উদ্যোগগুলো আমরা আগামী অর্থবছরেও অব্যাহত রাখবো। তবে, সংকটের প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের অগ্রাধিকারও কিছুটা পরিবর্তন হবে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনের সময় এ কথা বলেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, অতিমারির প্রথম বছরে আমাদের অগ্রাধিকার ছিল স্বাস্থ্য খাতের সক্ষমতা বাড়ানো, হঠাৎ কর্মহীন হয়ে পড়া নিম্ন-আয়ের মানুষদের খাদ্য ও মানবিক সহায়তা প্রদান এবং কৃষি, রপ্তানি খাতের মতো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সেক্টরগুলোর উৎপাদন ও কর্মসংস্থান অব্যাহত রাখতে জরুরি সহায়তা প্রদান। আমরা সরকারি ব্যবস্থাপনায় বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসার দ্রুত সম্প্রসারণ, অতিরিক্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ ও নিম্ন-আয়ের মানুষের জন্য মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রথম বছরের চ্যালেঞ্জ সফলভাবে মোকাবিলা করেছি।
তিনি বলেন, প্রাথমিক ধাক্কা সামলে অতিমারির দ্বিতীয় বছরে এসে আমাদের অগ্রাধিকার পরিবর্তিত হয়ে দাঁড়িয়েছিল সকলকে কোভিড টিকার আওতায় আনা ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে শিল্প ও সেবা খাতকে সহায়তা করা। ১২ বছরের ঊর্ধ্বে প্রায় সব নাগরিককে টিকার আওতায় আনা এবং শিল্প ও সেবা খাতের জন্য নেওয়া প্রণোদনা প্যাকেজগুলোর সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা দ্বিতীয় বছরের লক্ষ্যমাত্রাও সফলভাবে অর্জন করতে পেরেছি।
তিনি আরও বলেন, এখন অতিমারির তৃতীয় বছরে এসে আমাদের অগ্রাধিকার হবে আয়বর্ধন ও কর্মসৃজনের ধারা অব্যাহত রেখে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকে টেকসই করা ও এর মাধ্যমে অর্থনীতির ভিত্তিকে একটি পূর্ণাঙ্গ রূপ দেওয়া। এজন্য আমরা প্রণোদনা কার্যক্রমগুলোর বাস্তবায়ন আগামী অর্থবছরে অব্যাহত রাখবো। পাশাপাশি, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, শিল্প ও সেবা খাতের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ অর্থনীতির সকল গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর যাতে অতিমারির প্রভাব সম্পূর্ণরূপে কাটিয়ে উঠতে পারে সে লক্ষ্যে সব ধরনের নীতি-সহায়তা প্রদান করবো।
সংসদে স্পিকারকে উদ্দেশ্য করে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমি আপনার মাধ্যমে জাতির কাছে এ আশাবাদ ব্যক্ত করতে চাই যে, আগামী অর্থবছরই হবে অতিমারির প্রভাব কাটিয়ে ওঠার জন্য আমাদের শেষ বছর।