আবহাওয়ার বিরূপ পরিস্থিতিতেও বরিশালে পূর্ব প্রস্তুতি নেই

আবহাওয়ার বিরূপ পরিস্থিতিতেও বরিশালে পূর্ব প্রস্তুতি নেই

বরিশালে আবহাওয়ার বিরূপ পরিস্থিতিতেও তেমন কোন পূর্ব প্রস্তুতি নেই সরকারি বিভিন্ন সেবা সংস্থার। আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাবাস পর্যবেক্ষণ করছে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)। স্যিগনাল বাড়লে মাইকিং এবং পতাকা টানাবেন তারা। বিআইডব্লিউটিএ বলছে, বরিশাল নদী বন্দরে ২ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারী আছে। এতে ৬৫ ফিটের বেশী দৈর্ঘ্যর নৌযান চলাচলে নেই কোন বাঁধা। অপরদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, উপকূলীয় জেলা বরগুনা, পটুয়াখাালী এবং ভোলার বেরীবাঁধগুলো সব সময়ে দুর্যোগের ঝুঁকিতে থাকে। পানির চাপে কোথাও বাঁধের ক্ষতি হলে জরুরী ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলবেন তারা।

বরিশাল আবহওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মো. মিলন হাওলাদার জানান, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন ঊড়িষ্যা উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত নি¤œচাপের প্রভাবে কক্সবাজার সৈকত, চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারী করা হয়েছে। জোয়ারের সময় ২ থেকে ৩ ফুট জলোচ্ছ্বাসের আশংকা রয়েছে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে। গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বরিশালে ১০ মিলিটিমার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচী (সিপিপি) বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. শাহাবুদ্দিন মিয়া জানান,  সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর এবং নদী বন্দরে ২ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারী আছে। নি¤œচাপের কারণে পানি ২/৩ ফিট বাড়তে পারে। বর্তমান অবস্থায় সিপিপি সতর্ক রয়েছে। স্যিগনাল বেড়ে ৪ নম্বর হলে তারা মাইকিং করবেন এবং পতাকা টানিয়ে দেবেন।

বরিশাল বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক (বন্দর ও পরিবহণ) মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নদী বন্দরে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত থাকায় ৬৫ ফিটের কম দৈর্ঘ্যরে নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। অন্যান্য নৌযান চলাচলে কোন সমস্যা নেই। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বরিশাল জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্যার সময় নানা প্রস্তুতি নিয়ে থাকে। এই মুহূর্তে তাদের কোন পূর্ব প্রস্তুতি নেই। তবে পানির চাপ বেড়ে গেলে পটুয়াখালী, বরগুনা এবং ভোলার বেরীবাঁধ ঝুঁকিতে থাকে। কোথাও বেরীবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হলে জিও ব্যাগ রেডি আছে। জরুরী জিওব্যাগ ফেলে পরিস্থিতি সামাল দেয়া হবে।

এদিকে  সোমবারও কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার কিছুটা উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এ কারণে তলিয়ে যায় নদী তীরবর্তী নিচু এলাকা। পানি উঠে যায় নগরীর বিভিন্ন সড়কে। এতে দুর্ভোগে পড়েন বাসিন্দারা।