আবার পিছিয়ে বাংলাদেশ ফুটবল

শুরু থেকে হাই প্রেসিং ফুটবল খেলে গোল করে এগিয়ে যায় মালয়েশিয়া। চাপের মুখে বাংলাদেশ মোহাম্মদ ইব্রাহিমের গোলে সমতায় ফেরে। কিন্তু বিরতিতে যাওয়ার আগে আবারও স্বাগতিকরা লিড নেয়। তাতে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে নিজেদের শেষ ম্যাচের প্রথমার্ধ ভালো যায়নি বাংলাদেশের। বিরতিতে গেছে ২-১ গোলে পিছিয়ে থেকে।
আজ (মঙ্গলবার) কুয়ালালামপুরের বুকিত জলিল ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে আগের একাদশ নিয়ে খেলতে নামে বাংলাদেশ। শুরু থেকে মালয়েশিয়া হাই প্রেসিং করে একের পর এক আক্রমণ হেনেছে। বিশ্বনাথ-রিমনদের তটস্থ থাকতে হয়েছে।
ম্যাচ ঘড়ির ৬ মিনিটে মালয়েশিয়া এগিয়ে যেতে পারতো। শফিক আহমেদের নিচু কোনাকুনি শট দূরের পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। এর একটু আগে করবিন অংয়ের হেড ক্রসবারের অনেক ওপর দিয়ে যায়। ১২ মিনিটে শাফিউই রশিদের নেওয়া ভলি অল্পের জন্য ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়।
তবে চার মিনিট পর গোল হজম করে বাংলাদেশ। বক্সে নিজেদের মধ্যে বল দেওয়া-নেওয়া করতে ব্যস্ত ছিলেন বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা। ইয়াসিন আরাফাতের পাস নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি আতিকুর রহমান ফাহাদ। স্লাইডে ক্লিয়ার করতে গিয়ে ফাউল করে বসেন ফয়সাল হালিমকে। তাতে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিকে রশিদের নেওয়া বাঁ পায়ের বুলেট গতির শট বলের লাইনে ঝাঁপিয়ে পড়লেও আটকাতে পারেননি আনিসুর রহমান জিকো।
বাংলাদেশ এই অর্ধে দুটি দারুণ সুযোগ পেয়ে একটি গোল শোধ দিতে পেরেছে। ২৬ মিনিটে জামাল ভূঁইয়ার দারুণ রক্ষণচেরা পাসে সাজ্জাদ হোসেন বক্সে ঢুকে শট নিতে পারেননি। এক ডিফেন্ডার স্লাইডে বল পাওয়ার পর রাকিব হোসেনও উড়িয়ে মেরে নষ্ট করেন সমতায় ফেরার ভালো সুযোগ।
তবে ৩০ মিনিটে সফল লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। বিশ্বনাথের লং থ্রোয়ে রাকিবের ব্যাক হেডের পর মোহাম্মদ ইব্রাহিমও হেডেই জাল খুঁজে নেন। তুর্কমেনিস্তান ম্যাচেও একইভাবে গোল পেয়েছিলেন জাতীয় দলের এই উইঙ্গার।
যদিও বাংলাদেশের সমতায় থাকার স্বস্তি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৩৮ মিনিটে স্বাগতিকরা ঠিকই ব্যবধান বাড়িয়ে নেয়। ডিওন কুলস বক্সে থেকে কোনাকোনি জোরালো শটে ব্যবধান বাড়িয়ে নেন। জিকো ঝাঁপিয়ে পড়েও প্রতিহত করতে পারেননি। ওই গোলেই এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় মালয়েশিয়া।
বাংলাদেশ একাদশ: আনিসুর রহমান জিকো, ইয়াসিন আরাফাত, টুটুল হোসেন বাদশা, বিশ্বনাথ ঘোষ, রিমন হোসেন, আতিকুর রহমান ফাহাদ, জামাল ভূঁইয়া, বিপলু আহমেদ, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, রাকিব হোসেন ও সাজ্জাদ হোসেন।