আমতলীতে আ.লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে ২ গ্রুপের সংঘর্ষ

আমতলীতে আ.লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে ২ গ্রুপের সংঘর্ষ

বরগুনার আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের ৯বছর পর ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ২ গ্রুপে সংঘর্ষ-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন সাংবাদিকসহ আরও ৪০ জন আহত হয়েছেন।

রবিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে আমতলী পৌরসভার মাঠে সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র মতিয়ার রহমান এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চাওরা ইউপির চেয়ারম্যান  বাদল খানের উস্কানি মূলক বক্তব্যকে কেন্দ্র করে সাধারণ নেতা কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা এবং পরে সংঘর্ষের রূপ নেয়। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া নিবৃত করতে কেন্দ্রিয় আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আফজাল হোসেন  ও সাংসদ ধীরেন্দ্র দেবনাধ শম্ভু চেষ্টা করেন। 

দুই গ্রুপের মারধরের তথ্য সংগ্রহ করতে সাংবাদিকরা সভামঞ্চে যান। সভা মঞ্চে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে চাওড়া ইউপি চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান বাদল খান ও উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম সাংবাদিকদের গালিগালাজ ও লঞ্চিত করেন। সাংবাদিকরা এর প্রতিবাদ করলে তাদের উপর হামলা করে। এ হামলায় অন্তত ১০ জন আহত হয়। আহত সাংবাদিকরা হলো অ্যাড.শাহাবুদ্দিন পান্না, দ্বীপ্ত টিভির শাহ আলী, যমুনা টিভি ক‍্যামেরম‍্যান সিফাত, মোঃ রাসেল হোসেন, মোঃ সাগর আকন, মাহমুদুল হাসান তাপষ,সোহাগ হাফিজ, সাইফুল ইসলাম, জাহিদ ও মাহবুবুল আলম। আহত সাংবাদিকদের উদ্ধার করে বরগুনা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। এছাড়াও আমতলী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জি এম হাসান ও আমতলী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম মুসাসহ অন্তত আরও ৪০ জন আহত হন।

কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাড.আফজাল হোসেন চাওড়া চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান বাদল খান ও উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতিকে নিষেধ করা সত্বেও তারা নিবৃত হয়নি। পরে কেন্দ্রীয় নেতারা সভা পন্ড করে সভামঞ্চ ত্যাগ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, আখতারুজ্জামান বাদল খান ও উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল অহেতুক সাংবাদিকদের উপর হামলা করেছে।

বরগুনা জেলা টিভি সাংবাদিক ফোরামের সাবেক সভাপতি ও ২৪ টিভির স্টাফ রিপোটার মোঃ আবু ছালেহ বলেন, সাংবাদিকরা আওয়ামীলীগ সম্মেলন মঞ্চের তথ্য সংগ্রহ করতে সভা মঞ্চে গেলে চাওড়া ইউপি চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান বাদল খান ও তার মামাতো ভাই উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম অহেতুক সাংবাদিকদের উপর হামলা করেছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। তিনি সাংবাদিক লাঞ্চিতের ঘটনায় বিচার দাবী করেন।

বরগুনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক মোঃ হাসান ঝন্টু বলেন, কেন্দ্রিয় নেতা অ্যাড, আফজাল হোসেন ও সাংসদ ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সামনে সাংবাদিক লাঞ্চিত করার ঘটনা অত্যান্ত নিন্দনীয়। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী জানাই।

উপজেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চাওড়া ইউপি চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান বাদল খানের সাথে তার মুঠোফোনে (০১৭৯৮৯৩১৫৩২) যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

আমতলী থানার ওসি একেএম মিজানুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহম্মেদ সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা দুঃখজনক ঘটনা । আমি সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা প্রার্থী।