আমতলীতে ফেরির পল্টুনের উপড় ট্রাক বিকল

আমতলীতে ফেরির পল্টুনের উপড় ট্রাক বিকল

বরগুনার আমতলীতে পায়রা (বুড়িশ্বর) নদীতে চলাচলরত আমতলী-পুরাকাটা রুটের ফেরির পল্টুনের ওপর ধারন ক্ষমতার চেয়ে বেশী পাথর বোঝাই করার কারনে ট্রাকটি বিকল হওয়ায় আড়াই ঘণ্টা ফেরী চলাচল বন্ধ ছিলো।

শনিবার (৪ মার্চ) দুপুরের দিকে পায়ড়া সমুদ্র বন্দরগামী পাথর বোঝাই একটি ট্রাক ফেরি থেকে সড়কে উঠতে গিয়ে পল্টুনের ওপর বিকল হয়ে যায়। এতে পল্টুন অর্ধেক পরিমাণ ডুবে যায় হতাহতের কোন ঘটনা না ঘটলেও আড়াই ঘন্টা পর্যন্ত যান পারাপার বন্ধ ছিল। এতে নদীর উভয় পাশের বিভিন্ন সড়কে চলাচলর শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে । পরে আমতলী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আড়াই ঘন্টা চেষ্টার পর বিকল হওয়া ট্রাকটি সরিয়ে যানবাহন পারাপার স্বাভাবিক করেন। 

আমতলী ফেরিঘাটে আটকে পড়া যাত্রীবাহি বাস চালক  বলেন, মজিবর রহমান জানান, বরগুনার একটি স্কুলের বাচ্চাদের নিয়ে কুয়াকাটায় শিক্ষা সফর শেষ করে বরগুনা ফেরার পথে ফেরিঘাটে আটকা পড়েন। বিকেল ৪টার দিকে বিকল হওয়া ট্রাকটি সরিয়ে ফেলার পর তিনি ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হলে তিনি ফেরী পার হয়েছেন।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন লেবুখালী ব্রিজে ধারন ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত মালামাল বহন করা ট্রাকগুলোকে ওই ব্রিজ পার হতে না দেওয়ায় তারা বিকল্প পথে বাকেরগঞ্জ বরগুনা সড়ক ব্যবহার করে আমতলী-পুরাকাটা ফেরি পাড় হয়ে আমতলী, কলাপাড়া, তালতলী, পটুয়াখালী, কলাপাড়া, মহিপুর, পায়রা সমুদ্র বন্দর ও কুয়াকাটায় বিভিন্ন মালামাল নিয়ে আসে।  ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত মালামাল বোঝাই করা ট্রাক ও লরিগুলো অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে আমতলী-পুরাকাটা রুটের ফেরি পাড়াপাড় করে। এতে যেমন সড়কের ক্ষতি হচ্ছে তেমনি মাঝেমধ্যে ট্রাকগুলো বিকল হয়ে স্বাভাবিক ফেরী চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত মালামাল বোঝাই করা ট্রাক ও লরির বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে। আমরা এর একটা প্রতিকার চাই!

ফেরির সুপার ভাইজার মোঃ হাসান মিয়া জানান, অধিক লোড থাকায় ট্রাকটি ফেরি থেকে তীরে উঠতে গিয়ে পল্টুনের উপড় বিকল হয়ে পড়ে। আড়াই ঘন্টা পরে পটুয়াখালী থেকে সড়ক ও জনপদ বিভাগের রেকার এনে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের সহায়তায় ট্রাকটি সরিয়ে ফেরী চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।

ফেরির চালক মোঃ দোলন জানান, পল্টুনে ট্রাক বিকল হয়ে আড়াই ঘণ্টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ ছিলো। পণ্যবাহী ট্রাক ও লরিতে অতিরিক্ত মালামাল বহনের কারণে মাঝেমধ্যেই এমন সমস্যার সৃষ্টি হয়। 

বরগুনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ গিয়াস উদ্দিন মুঠোফোনে বলেন, আমতলী -পুরাকাটা রুটে চলাচলরত ফেরিতে আট টনের অধিক যানবাহন ও পণ্য বোঝাই ট্রাক ও লরি পারাপারের কোন সুযোগ নেই। ঘাট এলাকার দুই প্রান্তেই ওই বিষয়ে নোটিশ টানানো আছে। তারপরও কিভাবে এমনটা হলো আমি খোঁজ নিয়ে দেখতেছি। #