আলোর মিছিলে জ্বলে উঠেছে বিশ্বসেরা দিপাবলী উৎসব

বরিশালে অনুষ্ঠিত হয়েছে ভারত উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ দিপাবলী উৎসব। বিকেল থেকে হাজার হাজার পুর্নার্থীর ঢল নামে নগরীর কাউনিয়া মহাশ্মশানে। প্রিয়জনের সমাধিতে দ্বীপ জ্বেলে, পছন্দের খাবার সাঁজিয়ে রেখে চন্ডিপাঠ সহ প্রার্থনা করেন প্রয়াতের স্বজনরা। এবার করোনার প্রকোপ ঠেকাতে সংক্ষিপ্ত পরিসরে আয়োজন করা হচ্ছে শ্মশান দিপাবলীর।
করোনার কারণে এবার তোরন নির্মাণ, আলোকসজ্জা এবং মেলার আয়োজন নেই। সুষ্ঠু-সুন্দরভাবে দিপাবলী উৎসব সম্পন্ন করার জন্য নানা বিধি নিষেধ আরোপ করেছে মহাশ্মশান রক্ষা কমিটি। এদিকে উৎসব নির্বিঘ্ন এবং শান্তিপূর্ণ করার জন্য সব ধরণের ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।
প্রতি বছর কালি পুজার আগের দিন ভূত চর্তুদশীর পূণ্য তিথিতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা তাদের প্রয়াত স্বজনদের সমাধিতে প্রদীপ জ্বেলে, চন্ডি পাঠ করে এবং তাদের পছন্দের খাবার প্রদর্শন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। প্রয়াত স্বজনদের উদ্দেশ্যে প্রার্থনার অনুষ্ঠান পরিণত হয় উৎসবে। প্রতি বছর এই দিনটির অপেক্ষায় থাকেন প্রয়াতদের স্বজনরা। এ লক্ষ্যে নগরীর কাউনিয়ায় ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী মহাশ্মশানে নির্মাণ করা হয় একাধিক তোরণ এবং নজরকারা আলোকসজ্জা। ওই আয়োজন চলবে পরদিন শনিবার সকাল ৭টা পর্যন্ত।
নগরীর কাউনিয়ায় প্রায় ৬ একর জমির উপর গড়ে ওঠা মহাশ্মশানে প্রায় ৬১ হাজার সমাধী রয়েছে। ভারত উপমহাদেশে এত বড় সমাধীস্থল আর নেই।
বরিশাল মহাশ্মশান রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তমাল মালাকার বলেন, করোনার প্রকোপ ঠেকাতে এবার সংক্ষিপ্ত পরিসরে আয়োজন করা হয়েছে শ্মশান দিপাবলীর। নির্মাণ করা হয়নি তোরণ। করা হয়নি আলোকসজ্জা। মেলাও আয়োজন করা হয়নি। এবার মাস্ক ব্যতিত কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না মহাশ্মশানে। জীবানুনাশক দুটি টানেল বসানো হয়েছে শ্মশানে প্রবেশ গেটে। সামাজিক দূরত্ব রাখার জন্য সার্বক্ষনিক করা হবে মাইকিং। নিরাপত্তার জন্য স্থাপন করা হয়েছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা।