ইউক্রেন-রাশিয়ার শান্তি আলোচনা শুরু

ইউক্রেন-রাশিয়ার শান্তি আলোচনা শুরু

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের মধ্যস্থতায় রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি আলোচনা শুরু হয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার তুরস্কের ইস্তানবুল শহরে দুই দেশের প্রতিনিধিরা মুখোমুখি আলোচনায় বসেন।

আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

দুই সপ্তাহ পর আবারও তারা মুখোমুখি বৈঠকে বসলেন।

ইউক্রেন বলছে, রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় তারা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেবেন যুদ্ধবিরতি ইস্যুটিকে। তবে এ বৈঠক থেকেও যে আশানুরূপ কোনো ফল (স্থায়ী যুদ্ধবিরতি) আসতে পারে, তা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।

এর আগেও দুই পক্ষের মধ্যে একাধিক বৈঠক হয়েছে। কিন্তু তাতে আশানুরূপ ফল আসেনি।

আলোচনার আগে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেছেন, ‘ফলপ্রসু একটি সিদ্ধান্তে’ পৌঁছানোর এটাই উপযুক্ত সময়।

বৈঠকে রুশ পক্ষের প্রতিনিধিদের মধ্যে রয়েছেন ফুটবল ক্লাব চেলসির মালিক রাশিয়ান ধনকুবের রোমান আব্রামোভিচ।

রুশ বার্তাসংস্থা রিয়া নভস্তির খবরে বলা হয়, বৈঠকে চেলসি ফুটবল ক্লাবের মালিক আব্রামোভিচ কী ভূমিকায় রয়েছেন, তা পরিষ্কার নয়। তবে মনে করা হচ্ছে তিনি কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে মধ্যস্থতার চেষ্টা করবেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, আলোচনার ইস্যুগুলো থেকে ইউক্রেনকে ‘নাৎসিমুক্তকরণ’ ইস্যুটিকে বাদ দেয়া হয়েছে।

ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেছেন, তার দেশ ‘জনগণ, ভূমি ও সার্বভৌম নিয়ে বাণিজ্য’ করছে না। অন্যদিকে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি কেশকভ বলেন, আলোচনায় দৃশ্যমান তেমন অগ্রগতি দেখা যায়নি।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। দেশটির রাজধানী কিয়েভসহ বিভিন্ন শহরে গোলা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে রুশ বাহিনী।

যুদ্ধে দুই পক্ষেরই ব্যাপক প্রাণহানির খবর পাওয়া যাচ্ছে। জাতিসংঘ বলছে, যুদ্ধের কারণে ইতোমধ্যে ইউক্রেন ছেড়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিয়েছেন ৩৫ লাখেরও বেশি মানুষ।

সূত্র জানায়, রাশিয়ার সীমান্তবর্তী ইউক্রেনের শহরগুলো ঘিরে রেখেছে রুশ সামরিক বাহিনী; হামলা চলছে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভেও।

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের পাশে অবস্থান করছে রুশ বাহিনীর ৪০ মাইল দীর্ঘ একটি বহর। তারা যে কোনো সময় শহরটিতে হামলা চালাতে পারে।

রাশিয়ার গোলা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় খারকিভ, মারিওপল শহরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির খবর পাওয়া যাচ্ছে।