উদীচী ট্রাজেডি দিবসে বরিশাল উদীচীর প্রতিবাদ সমাবেশ

থামবে না এই গান বোমা বারুদে, দেহে আছে যতক্ষণ প্রাণ, হত্যার হুমকীতে রোধ হবে না প্রতিবাদী কণ্ঠের গান, ৬ মার্চের মধ্য রাতে রক্তের স্বাদ যারা পায়, দাবি করি একটাই আমার গানে, বলো হত্যাকারীর ফাঁসি চাই’। উদীচী ট্রাজেডি দিবসে এমন প্রতিবাদী সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে যশোরে অনুষ্ঠিত উদীচীর দ্বাদশ জাতীয় সম্মেলনে বোমা হামলা মামলার বিচার দাবি করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী বরিশাল জেলা সংসদ।
শনিবার বিকেল পাঁচটায় নগরের উত্তর মল্লিক রোডে উদীচী ভবনের সামনে ওই প্রতিবাদ সমাবেশ ও প্রতিবাদী গণসঙ্গীতনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উদীচী ট্রাজেডি দিবস উপলক্ষে বোমা হামালা, জঙ্গীবাদ নির্মুল এবং উদীচীর শিল্পী কর্মী হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও প্রতিবাদী সংগীতের আয়োজন করে উদীচী বরিশাল।
বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী বরিশাল জেলা সংসদের সভাপতি সাইফুর রহমান মিরণের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশ বক্তব্য রাখেন, উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান, বরিশাল উদীচীর সাবেক সভাপতি, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অ্যাডভোকেট মানবেন্দ্র বটব্যাল, উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট বিশ^নাথ দাস মুনশী, বরিশাল নাটকের সভাপতি কাজল ঘোষ, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতিম-লীর সদস্য আজমল হোসেন লাবু, জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গতি সম্মিলন পরিষদ বরিশালের সাধারণ সম্পাদক সুখেন্দু শেখর সরখেল, বরিশাল নাটকের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় সাহা, উদীচী বরিশালের সাধারণ সম্পাদক ¯েœহাংশু কুমার বিশ^াস প্রমূখ।
প্রতিবাদ সমাবেশ বক্তারা বলেন, ১৯৯৯ সালের ৬ মার্চ যশোরে উদীচীর দ্বাদশ জাতীয় সম্মেলনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালিয়ে ১১জন শিল্পীকর্মীকে হত্যা করে। অনেক শিল্পীকর্মী এবং সাধারণ মানুষ আহত হন। সেই ঘটনায় দায়ের করা মামলার আজো বিচার হয়নি। বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের সরকার ক্ষমতায় থাকার পরও উদীচী হত্যা মামলার বিচার হচ্ছে না। অবিলম্বে উদীচী ট্রাজেডির মামলায় প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি দিয়ে বোমাবাজ, ধর্মান্ধ, জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার দাবি জানান। একই সঙ্গে দেশে সংঘটিত বিভিন্ন জঙ্গী ঘটনা, মুক্তমলা লেখকদের হত্যা করা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে লেখক ও মুক্তমনা মানুষদের নির্যাতনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এ ঘটনায় উগ্র মৌলবাদী চিন্তাকেই দায়ি করেন তারা।