একাধিক মামলার আসামি সিকদার লিটনকে খুঁজছে পুলিশ

একাধিক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত ও একটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি সিকদার লিটন নামে এক ব্যক্তিকে খুঁজছে পুলিশ। শিকদার লিটনের বাড়ি আলফাডাঙ্গা উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়নের চর আজমপুর গ্রামে। সিদ্দিক শিকদারের ছেলে সিকদার লিটন। স্থানীয়দের কাছে তিনি প্রতারক ও ছদ্মবেশী অপরাধী বলেই পরিচিত। এলাকার মানুষকে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দফতরে চাকরি দেয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ারও অভিযোগ আছে শিকদার লিটন এর বিরুদ্ধে।
স্থানীয়রা জানান, চাঁদাবাজি, প্রতারণা ও প্রাণনাশের হুমকি, সাইবার অপরাধসহ প্রায় ডজনখানেক মামলার আসামি তিনি। এমন কোনো অপরাধ নেই যার সঙ্গে জড়িত নয় সিকদার লিটন।
পুলিশ জানিয়েছে, খুবই চালাক সিকদার লিটন নামের ওই ব্যক্তি। প্রতিনিয়ত নিজের অবস্থান পরিবর্তন করেন। যেখানেই অবস্থান করেন সেখানেই মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে সরে পড়েন। বহুরূপী এই ব্যক্তি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সিম ব্যবহার করেন।
ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) আনিসুজ্জামান লালন বলেন, সার্কেল অফিসে লিটনকে ডেকেছিলাম। কিন্তু তিনি হাজির হননি। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম তার নামে থানায় ওয়ারেন্ট আছে। তবে তিনি এলাকায় নেই। পুলিশ তাকে খুঁজছে। কেউ তার সন্ধান পেয়ে থাকলে পুলিশকে জানানোর অনুরোধ করেন এই কর্মকর্তা।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুর, খুলনা ও পাবনা জেলায় ওইসব মামলা রয়েছে। তাঁর মধ্যে খুলনার সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ২০১৮ সালের ১৯ মার্চ। মামলা নং-২৪। চাঁদা দাবি এবং প্রাণনাশের হুমকির অপরাধে এ মামলা করা হয়েছে। এছাড়াও পাবনার আটঘরিয়ায় একটি সিআর মামলার আসামিও তিনি। মামলার নং-৪৯/১৪। এবং পাবনার আমিনপুর থানাতেও করা প্রাণনাশের একটি মামলার আসামি তিনি। ২০১৪ সালের ১৮ মে মামলাটি করা হয়। দুস্কর্মের অভিযোগে ২০১৬ সালের ৯ মে তা বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা হয় আলফাডাঙ্গা থানায়।
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সাইফার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুৎসা রটনার অভিযোগে আলফাডাঙ্গা থানায় একটি অভিযোগ করেন সাইফুর রহমান সাইফার। যেটি সাধারণ ডায়েরি হিসেবে নিবন্ধিত হয়। যার নম্বর-৮৭৫।
এ ছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা এস এম আকরাম হোসেনকে নিয়ে ফেসবুকে নানা ধরনের অপপ্রচার ও সম্মানহানিকর তথ্য প্রচারের অভিযোগ আছে শিকদার লিটন ও তার ইন্ধনদাতাদের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় ২০১৯ সালের ২ ডিসেম্বর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন আকরাম হোসেন। যার নং- ৯৬।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সূত্র বলছে, এলাকা থেকে বিতারিত হওয়ার পর ঢাকা ছাড়াও খুলনার সীমান্ত এলাকা, পাবনাসহ বিভিন্ন জায়গা অবস্থান নিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছেন সিকদার লিটন।
এদিকে সম্প্রতি তার প্রতারণার বিভিন্ন খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে সিকদার লিটন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে গুজব ছড়াতে থাকেন। মাঝে মাঝে ফেসবুক লাইভে এসে নেতাদের বিরুদ্ধে বাজে মন্তব্য করেন।