একুশে ফেব্রুয়ারির আয়োজনে শিক্ষক সমিতিকে সম্পৃক্ত না করার আহ্বান : ঢাবি সাদা দলের দাবি

একুশে ফেব্রুয়ারির আয়োজনে শিক্ষক সমিতিকে সম্পৃক্ত না করার আহ্বান : ঢাবি সাদা দলের দাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিএনপি-জামাত সমর্থিত শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল একুশে ফেব্রুয়ারি শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কার্যক্রমে শিক্ষক সমিতির নামে কাউকে সম্পৃক্ত না করার দাবি জানিয়েছে।

রোববার সংগঠনের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম এবং অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম সরকার স্বাক্ষরিত এক স্মারকলিপিতে ঢাবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানকে এই দাবি জানানো হয়।

সাদা দলের নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের সময় শিক্ষক সমিতির ভূমিকা ছিল সরকারের প্রতি অনুগত। তারা উল্লেখ করেন, ২০২৪ সালের শিক্ষক সমিতি নির্বাচনে শুধুমাত্র নীল দল অংশগ্রহণ করায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তারা বিজয়ী হয়। তবে, অভ্যুত্থানবিরোধী অবস্থান নেওয়ার কারণে ২০২৪ সালের আগস্টে সাদা দলের সমর্থিত শিক্ষকেরা ওই সমিতিকে প্রত্যাখ্যান করেন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, শেখ হাসিনার সরকার পতনের ঠিক আগের দিন তৎকালীন শিক্ষক সমিতির নেতারা গণভবনে উপস্থিত হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সমর্থন দেন এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন। এই ভূমিকার জন্য সাদা দল তাদের বিচার দাবি করেছে।

নেতারা অভিযোগ করেন, ২০২৪ সালের শিক্ষক সমিতি গণবিরোধী ও নিন্দিত। তারা ২০০৭ সালের দৃষ্টান্ত তুলে ধরে দাবি করেন, সে সময় শিক্ষক সমিতির দায়িত্ব ছিল সর্বসম্মত সমর্থনের ভিত্তিতে বৈধ। কিন্তু ২০২৪ সালের শিক্ষক সমিতি অগণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হওয়ায় তাদের কোনো বৈধতা নেই।

সাদা দল শিক্ষক সমিতির নেতৃত্বকে প্রত্যাখ্যান করে এবং তাদের একুশে ফেব্রুয়ারির আয়োজনে সম্পৃক্ত না করার দাবি জানায়। একইসঙ্গে, তাদের গণবিরোধী ভূমিকার জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।

এর আগে, ২৫ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি উপাচার্যকে দেওয়া এক স্মারকলিপিতে একুশে ফেব্রুয়ারি আয়োজনে শিক্ষক সমিতিকে সম্পৃক্ত করার দাবি জানায়। তাদের ভাষ্য, ঐতিহ্যগতভাবে শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন, যা এবার উপেক্ষা করা হয়েছে। তারা এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানান এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সমন্বয় করে একুশে ফেব্রুয়ারি পালনের আহ্বান জানান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।