কঠোরতম বিধিনিষেধের মধ্যে কারখানা খুললে ব্যবস্থা: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

কঠোরতম বিধিনিষেধের মধ্যে কারখানা খুললে ব্যবস্থা: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত কঠোরতম বিধিনিষেধের মধ্যে কোনো শিল্প কারখানা খুললে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

সোমবার কঠোরতম বিধিনিষেধের চতুর্থ দিন সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, “কেউ কারখানা খুলে থাকলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছি। সংক্রমণ যে গতিতে ছড়াচ্ছে, তাতে এখন কঠোর বিধিনিধেষের কোনো বিকল্প নেই।”
তিনি বলেছেন, লকডাউনের মধ্যে পোশাক কারখানা খোলা নিয়ে সরকারের এখন পর্যন্ত কোনো চিন্তাভাবনা নেই।

মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ কোনো নির্দেশনা দিয়েছেন কি না- জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “করোনা যে পরিস্থিতিতে ছড়িয়ে গেছে, এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা কঠিনভাবেই তো প্রজ্ঞাপন জারি করেছি। এ ব্রেকটা খুব দরকার। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের সংক্রমণ কমানোর জন্য ব্রেক প্রয়োজন। ব্রেকটার জন্য এটাই উপযুক্ত কৌশল, সেটি হচ্ছে বিধিনিষেধ।”

বিধি-নিষেধ কঠোরভাবে পালনের কথা থাকলেও সড়কে চলাচল বাড়ছে। এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “পোশাক কারখানা ও রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা বন্ধ থাকায় লাখ লাখ কর্মীরা আর বের হচ্ছেন না। এরা ছাড়াও বিভিন্ন কারণে অনেককে বাইরে আসতে হচ্ছে।”

তিনি বলেন, “হাসপাতাল, জরুরি সেবার সঙ্গে জড়িত মানুষ বের হচ্ছেন। হাসপাতালে যারা আছেন তাদের অ্যাটেনডেন্টরা আছেন, তাদের বের হতে হচ্ছে। রাস্তায় বের হয়ে মানুষ বলছে, চাকরিতে যেতে হচ্ছে। তারা যেসব প্রতিষ্ঠানের নাম বলেছে, আমরা সেগুলো যাচাই করছি।”

মহামারী ও লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি সহায়তা অব্যাহত রয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “১৭ লাখ মানুষকে আড়াই হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। খাবারের অভাব হলে বাইরে বের হওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। ৩৩৩ হটলাইন চালু আছে, ওটা কোনো কারণে ফেল করলে স্থানীয়ভাবে দেওয়া নম্বরে যে কেউ ফোন করলেও খাবার চলে যাবে, সেই নির্দেশ দেওয়া আছে।”

সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদের হিসাব দেওয়া নিয়ে এক প্রশ্নে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, “সরকারি চাকরি আইনে বলা আছে পাঁচ বছর পর পর সবাই সম্পদের হিসাব দেবে। যাতে করে আয় বহির্ভূত কোনো সম্পদ আছে কি না, সেটা আমরা চেক করতে পারি। সরকারি চাকরিজীবীরা ট্যাক্স রিটার্ন দেবেন। আমাদেরকেও তাদের সম্পেদের হিসাব সাবমিট করতে হবে। কেউ তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চাইলে আমরা দিতে পারব।”