কঠোর হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা

কঠোর হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক সংঘাত আদালত প্রাঙ্গণে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা আরও কঠোর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। কোর্টে প্রবেশের বিভিন্ন পথসহ আদালত প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কড়াকড়ি করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সংঘর্ষের পর সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা নিয়ে তাৎক্ষণিক বৈঠক করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সম্পাদক এবং সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের কর্মকর্তারা। বৈঠকে রোববার (২৯ মে) থেকে নিরাপত্তা জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টের জাজেস স্পোর্টস কমপ্লেক্সসংলগ্ন মসজিদ গেট সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত থোলা থাকবে। বাংলাদেশ বার কাউন্সিলসংলগ্ন গেট দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে শুধু গাড়ি বের হতে পারবে। তবে এ গেট দিয়ে কোনো গাড়ি ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে না। এ ছাড়া বাংলা একাডেমির বিপরীত পাশে অবস্থিত গেটটি সার্বক্ষণিক বন্ধ থাকবে।

আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জানান, বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী রোববার থেকে সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের গেটগুলোতে আনাগোনা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। বিচারপ্রার্থী, আইনজীবীরা যাতে সুপ্রিম কোর্টে নির্বিঘ্নে, স্বাচ্ছন্দে থাকতে পারেন সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আদালত অঙ্গনে যাতে কোনো বহিরাগত ঢুকতে না পারে সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।

বৈঠকে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. বজলুর রহমান, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. গোলাম রব্বানি, পুলিশের রমনা অঞ্চলের ডিসি, আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে দিকে সুপ্রিম কোর্টের ভেতরে আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে ছাত্রদল-ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, মারামারি ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

এদিকে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও হামলার প্রতিবাদে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।