কেন্দ্রে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে টিকা নেয়ার আহ্বান সিটি মেয়রের

কেন্দ্রে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে টিকা নেয়ার আহ্বান সিটি মেয়রের

সারা দেশের মতো বরিশালেও চলছে একদিনের টিকা ক্যাম্পেইন। বরিশাল জেলা ও মহানগরীর ১৪১টি কেন্দ্রে দেয়া হচ্ছে এই টিকা। প্রতিটি কেন্দ্রে টিকা গ্রহণে আগ্রহীদের ভীড় দেখা গেছে। সুস্থ্য থাকতে নিজেদের ইচ্ছায় টিকা কেন্দ্রে যাওয়ার কথা বলেন তারা। এদিকে টিকা কেন্দ্রে যাওয়া প্রত্যেককে নিবন্ধন করে টিকা দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা। অপরদিকে নগরীরবাসীর সুবিধার্থে নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে একাধিক বুথের মাধ্যমে টিকা দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ। তিনি সবাইকে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ে নিবন্ধন করে টিকা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। 

বরিশাল জেলার ১০ উপজেলায় ৮৭টি ইউনিয়নের ৮৭টি কেন্দ্রের ২৬১টি বুথ এবং সিটি করপোরেশনের ৩০টি ওয়ার্ডের ৫৪ কেন্দ্রের ৬৪টি বুথে গতকাল শনিবার সকাল ৯টায় শুরু হয় টিকা ক্যাম্পেইন। এর আগেই টিকায় আগ্রহীরা লাইনের দাঁড়িগয়ে টিকার জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। সকাল ৯টায় নগরীর নতুনবাজার ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ে টিকা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ। 

টিকায় আগ্রহী সাধারণ মানুষ বলছেন, করোনা থেকে সুরক্ষায় নিজেদের ইচ্ছায় টিকা দিতে এসেছেন। কেউ আগে এসএমএস পেয়ে টিকা দিতে এসেছেন। আবার কেউ আগে রেজিস্ট্রেশন না করেও জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে কেন্দ্রে এসেছেন টিকা দিতে। টিকা নেয়ার পর তাৎক্ষণিক কোন পাশর্^প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়নি বলে জানিয়েছেন অনেকে। কেন্দ্রগুলোতে ভালো ব্যবস্থা থাকায় কোন হয়রানী কিংবা ভোগান্তি ছাড়াই নগরবাসী টিকা দিতে পারছেন বলে তারা জানিয়েছেন। কেউ কেউ দ্বিতীয় ডোজ এবং প্রথম ডোজ নিতেও এসেছেন। 
টিকা কেন্দ্রের দায়িত্বরতরা জানান, যারা আগে এসএমএস পেয়েছেন তাদের টিকা দেয়া হচ্ছে। আর যারা রেজিস্ট্রেশন করেননি তারাও জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে কেন্দ্রে আসলে টিকা দেয়া হবে তাদের। কেন্দ্র থেকে কেউ ফেরত যাবেনা বলে তারা জানান। 

গতকাল শনিবার সকালে নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ে টিকা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। এ সময় তিনি বলেন, নগরীরবাসীকে টিকার আওতায় আনতে সব ধরণের ব্যবস্থা করেছে সিটি করপোরেশন। জাতীয়পরিচয়পত্রসহ কাউন্সিলর কার্যালয়ে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে সবাইকে টিকা নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

উপজেলা পর্যায়ে দেয়া হচ্ছে চীনের সিনোফার্মার ভেরসেল টিকা এবং সিটি এলাকায় দেয়া হচ্ছে আমেরিকার তৈরী মডার্না টিকা। জেলার ১০ উপজেলার ২৬১ বুথে ৫২ হাজার ২০০ মানুষ এবং সিটি করপোরেশনের ৬৪ বুথে ১৮ হাজার মানুষকে টিকা দেয়া লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। ২৫ উর্ধ্ব বয়সের যে কেউ জাতীয়পরিচয়পত্র নিয়ে কেন্দ্রে গেলেই টিকা নিতে পারবেন তারা। তবে বয়োজেষ্ঠ (বয়স ৫০ বছরের উপরে), নারী ও প্রতিবন্ধীদের টিকায় অগ্রাধিকার রয়েছে।