খাদ্য মন্ত্রণালয় অভিমুখে বামের মিছিলে বাধা

খাদ্য মন্ত্রণালয় অভিমুখে বামের মিছিলে বাধা

নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে খাদ্য মন্ত্রণালয় অভিমুখে ৯ বাম সংগঠনের মিছিলে বাধা দিয়েছে পুলিশ। রবিবার (২৭ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দিকে অভিযাত্রায় এই বাধা দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে জাতীয় মুক্ত কাউন্সিল ও ৯ সংগঠনের সমন্বয়ক ফয়জুল হাকিম বলেন, এই সরকার জনগণের সভা সমাবেশ করার যে গণতান্ত্রিক অধিকার তা কেড়ে নিয়ে জনগণের কণ্ঠ রোধ করতে চায়। আমাদের গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে পুলিশের এই বাধা নিন্দনীয়।

শাহবাগ থানার পেট্রোল ইন্সপেক্টর শেখ আবুল বাশার জানান, 'মিছিল করে মন্ত্রণালয়ের দিকে যাওয়া; এটা কোনও অবস্থাতেই সম্ভব নয়। তাই আমরা এখানে বাধা দিয়েছি। তাদের বলা হয়েছিল আপনারা যদি কোন স্মারকলিপি দেন, তাহলে আমরা সেই বিষয়ে ব্যবস্থা করতে পারি।'

বিক্ষোভ করা ৯ সংগঠন হচ্ছে বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চা, জাতীয় গণফ্রন্ট, গণমুক্তি ইউনিয়ন, বাসদ (মাহবুব), জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টি এবং কমিউনিস্ট ইউনিয়ন।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চার সভাপতি জাফর হোসেন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের নেতা শুভাংশ চক্রবর্তী, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম, গণমুক্তি ইউনিয়নের আহবায়ক নাসিরুদ্দিন নাসু প্রমুখ।

এর আগে বিক্ষোভ সমাবেশে ৯ সংগঠনের পক্ষে ৭ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হচ্ছে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ সদস্যদের মতো সারাদেশে শ্রমজীবী ও স্বল্প আয়ের জনগণের জন্য পূর্ণ রেশনিং চালু করা; সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিতে হবে এবং স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠন করে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী-লুটেরা আড়তদার দুর্নীতিবাজ খুচরা বিক্রেতাদের শাস্তি দেওয়া; বাজার তদারকি জোরদার করা ও পণ্য পরিবহনে পথে পথে পুলিশের চাঁদাবাজি বন্ধ করা; টিসিবির বিক্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো ও সেখানে বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধীকার দেওয়া; জাতীয় বাজেটে খাদ্যশস্য ক্রয়ের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা থোক বরাদ্দ দেওয়া ও খাদ্যশস্য সংরক্ষণের জন্য প্রতিটি জেলায় ও কৃষি প্রধান এলাকায় আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণ করা; গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির দাম বৃদ্ধি না করা ও জ্বালানি তেলের বর্ধিত মূল্য ও পরিবহনের বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার করা এবং সভা সমাবেশ মিছিলে পুলিশ ও সরকারি গুন্ডাদের হামলা বন্ধ করা।