খালেদা জিয়ার পূর্ণ সুস্থ হতে ‘দীর্ঘ সময় লাগবে’

দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তার পূর্ণ সুস্থ হতে দীর্ঘ সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার দেশ রূপান্তরকে তিনি এসব বলেন।
ডা. জাহিদ বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে উদ্বিগ্ন খালেদা জিয়া। দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে এ সংকট মোকাবেলর আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
এদিকে তার স্বজনরা দেশ রূপান্তরকে বলেন, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে থাকায় ও খাওয়া-দাওয়া স্বাস্থ্যসম্মত হওয়ায় মানসিকভাবে চাঙ্গা রয়েছেন খালেদা জিয়া।
তার ভাগ্নে ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মামুন নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন।
ডা. জাহিদ বলেন, কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর গুলশানের নিজ বাসভবন ফিরোজায় হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন খালেদা জিয়া। লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানে স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে। এখন তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে। তার পূর্ণ সুস্থ হতে দীর্ঘ সময় লাগবে এবং আধুনিক চিকিৎসার প্রয়োজন হবে।
২৫ মার্চ ‘মানবিক বিবেচনায়’ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি পান খালেদা জিয়া। ২৫ মাসের কারাবাসের মধ্যে এক বছর তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে মুক্তির পর হাসপাতাল থেকে ‘ফিরোজা’য় ওঠার পর থেকে কোয়ারেন্টাইনে আছেন তিনি। বাসায় আসার পর ব্যক্তিগত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হয়। নার্সসহ আরো কয়েকজন রয়েছেন ‘ফিরোজা’র দ্বিতীয় তলায়।
৭৫ বছর বয়সী খালেদা জিয়া রিউমাটিজ আর্থারাইটিস, ডায়াবেটিস, চোখ ও দাঁতের নানা সমস্যায় ভুগছেন।
খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা বলছেন, দীর্ঘদিন পর স্বজনদের সঙ্গে থাকায় মানসিকভাবে কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছেন খালেদা জিয়া। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে হাসপাতালগুলো অনেকটা বন্ধ থাকায় নতুন করে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চিকিৎসকরা করতে পারছেন না। তাই এত দিন ধরে যে চিকিৎসা চলেছে সেটাই চিকিৎসকরা দিয়ে যাচ্ছেন। এ জন্য তার সুস্থ হতে দীর্ঘ সময় লাগবে।
খালেদার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের একাধিক সদস্য দেশ রূপান্তরকে বলেন, বিএনপি প্রধানের হাত-পায়ের ব্যথাটা বেশি। তার শারীরিক অসুস্থতাও অনেক বেশি। তিনি হাঁটতে পারেন না। ব্যথা উপশমের জন্য গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে থেরাপি দেওয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এতে তার ব্যথার কিছুটা উপশম হচ্ছে।
চিকিৎসকরা আরো জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার ডায়াবেটিস এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তার সুস্থতার অগ্রগতি ধীর। এ জন্য দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হবে। তবে বাসায় আসারি পর থেকে তিনি মানসিকভাবে স্বস্তিবোধ করছেন বলে জানিয়েছেন তারা।
সংগৃহীত-দেশ রূপান্তর