খোকনের বিষয়ে তদন্ত কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নয়

খোকনের বিষয়ে তদন্ত কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নয়

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের বিষয়ে তদন্ত কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নয় বলে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার বিকেলে এই বিষয়ে দুদক সচিব মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, দুদক স্বাধীন সংস্থা, তারা কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কাজ করে না, নিজের প্রয়োজনে অনুযায়ী কাজ করে।

দুদকের আবেদনে নিজের এবং পরিবারের আটটি অ্যাকাউন্ট জব্দ করার ঘটনায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসকে দুষলেন এই সিটির সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী এই সংসদের সদস্য বলেন, মেয়র বিদ্বেষমূলক আচরণ করে আসছে।

খোকন বলেন, ‘আমার ও আমার পরিবারের আটটি ব্যাংক হিসার ফ্রিজ করা হয়েছে। সেখানে ৭ কোটি ৬২ লাখ ৭২ হাজার ৬০৩ টাকা ছিল। দুদক আমার পরিবারের কোনো সদস্যকে কোনোরূপ নোটিশ না করে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে।’

বিকেলে এই বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে দুদক সচিব বলেন, এই রকম কোনো বিষয় নেই। দুদক সব সময় সবার স্বার্থ রক্ষা করে কাজ করে। প্রয়োজন হলে তার স্বার্থ রক্ষা করবে। দুদক মানুষকে অযথা বা একচেটিয়া, একদিক থেকে কোনো কিছু করে না।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের শুরু থেকেই অনুসন্ধান চালাচ্ছে দুদক। এই অভিযোগে ইতিমধ্যে মেয়র থাকাকালীন সময়ে তার পিএস ও এপিএসকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন কমিশনের কর্মকর্তারা।

সাঈদ খোকনকে জিজ্ঞাসাবাদের পরিকল্পনা আছে কিনা জানতে চাইলে দুদক সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, তদন্তকারী অফিসার প্রয়োজন মনে করলে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন।

সাবেক মেয়রের অবরুদ্ধ আটটি ব্যাংক হিসাবে কত টাকা রয়েছে সেই বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি তিনি।

দুদক সচিব বলেন, আটটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হলো- শাহানা হানিফের নামে দুটি, একটি সিটি ব্যাংক, একটি এক্সিম ব্যাংক লিমিটেডে। ফারহানা আলমের নামে একটি, তারপর সাঈদ খোকন প্রপার্টিজ লিমিটেড নামে সিটি ব্যাংকে, ফোর এ প্রাইভেট লিমিটেডের নামে ন্যাশনাল ব্যাংকে, মেসার্স এইচ এম এস করপোরেশনের নামে সিটি ব্যাংক বনানী শাখা এবং ফাতেমা খাতুনের নামে ব্যাংক এশিয়া বনানী শাখায় একটি। এই আট অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে।

দুদুকের আবেদনে আদালত এগুলো অবরুদ্ধ করেছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, অ্যাকাউন্টগুলো ফ্রিজ থাকবে। মনে করা হচ্ছে যে, অতীতে বেশ টাকা পয়সার অস্বাভাবিক লেনদেন আছে। ভবিষ্যতে সেখান থেকে টাকা-পয়সা.. ইয়ে হয়ে যেতে পারে বিভিন্নভাবে। অনুসন্ধানের স্বার্থে তদন্তকারী কর্মকর্তা আবেদন করেছেন এবং আবেদন মঞ্জুর হয়েছে।