গৈলা বিজয় গুপ্ত’র মনসা মন্দিরে বার্ষিক পূজা অনুষ্ঠিত

গৈলা বিজয় গুপ্ত’র মনসা মন্দিরে বার্ষিক পূজা অনুষ্ঠিত

হাজার হাজার ভক্ত ও দর্শনার্থীর উপস্থিতিতে ধর্মিয় ভাব গাম্ভির্যর মধ্য দিয়ে বরিশালের আগৈলঝাড়ায় “মনসা মঙ্গল” রচয়িতা কবি বিজয় গুপ্ত’র বিজয় গুপ্ত’র প্রতিষ্ঠিত, ৫শ ২৮ বছরের পুরোনো গৈলা ঐতিহ্যবাহী মনসা মন্দিরে বার্ষিক মনসা পূজা বুধবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বুধবার সকাল ৮টা থেকে পুজার্চণা শুরু হয়ে চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। সকাল ১০টায় এবং দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ছাগ বলিদান। মনস্কামনা পুরণ ও পুন্য লাভের আশায় দেশ বিদেশের হাজার হাজার ভক্ত তাদের মানত পুজা দিতে দুধ, কলা, ফল, মিষ্টি, ধুপ, ধুনো, ছাগ বলিদান, যাগযজ্ঞ সম্পন্ন করেন। আগত ভক্তদের মাঝে বিতরণ করা হয় মহাপ্রসাদ।

থানা অফিসার ইন চার্জ মো. গোলাম ছরোয়ার জানান, দেশের ঐতিহ্যবাহী মনসা মন্দিরের পুজায় আগত ভক্ত ও দর্শনার্থীদের পুলিশ সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করায় সুষ্ঠ ও নির্বিঘেœ পুজা সম্পন্ন হয়েছে। 


কবি বিজয় গুপ্ত’র স্মৃতি রক্ষা মনসা মন্দির সংরক্ষণ ও উন্নয়ন কমিটির উপদেষ্টা একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক ও কলামিস্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা অজয় দাস গুপ্ত জানান, গত দুই বছর করোনার প্রভাবে ভক্তরা কম আসলেও এবছর পুজায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক লোক সমাগম হয়েছে।

গৈলা কবি বিজয় গুপ্ত’র স্মৃতি রক্ষা মনসা মন্দির সংরক্ষণ ও উন্নয়ন কমিটির সভাপতি তারক চন্দ্র দে জানান, পুজা উপলক্ষে শত শত দোকানীর বেচা কেনায় মেলায় রুপ নিয়েছে মন্দির প্রাঙ্গণ ও আশাপাশের এলাকা। আগত ভক্ত ও দর্শনার্থীরা তাদের প্রয়োজনীয় পুজার উপকরণসহ ঘর গৃহস্থলির কাজে ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন জিনিসপত্র কেনাকাটা করেছেন। 

প্রসংগত, ৫শ ২৮বছর আগে মধ্য যুগে সুলতান হোসেন শাহ্র রাজত্বকালে ১৪৯৪ সনে কবি বিজয় গুপ্ত সর্পের দেবী মনসা বা বিষ হরি (বিষ হরণকারী) দেবী কর্র্তৃক স্বপ্ন দেখে নিজ বাড়ির সু-বিশাল দীঘি থেকে পুজার ঘট তুলে গৈলা গ্রামের নিজ বাড়িতে দেবী মনসার মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। পরে দেবী মনসার স্বপ্ন আদেশে “পদ্মপুরাণ” বা “মনসা মঙ্গল” কাব্য রচনা করেন। সেই থেকে গৈলা মনসা মন্দিরে দেবী মনসার নিত্য পুজা অর্চণাসহ বার্ষিক পুজা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।