চাইনি আমি দেখতে

চাইনি আমি দেখতে

অনিতা পান্ডে

মানুষ হয়ে জন্ম নিয়ে, চাইনি আমি দেখতে-
জীবনের এত হানাহানি এত অত্যাচার!
ভাবিনি দু'চোখে দেখতে হবে,
অনাহারী মানুষের বুভুক্ষ হাহাকার!
আকাশে বাতাসে ভেসে বেড়ায় আজি,
ক্রন্দনধ্বনির করুন আর্তনাদ বাজি।
উদ্ভাসিত করুক যতই দিবাকর, মায়াময় পৃথ্বীর শরীর।
সুস্থদেহে সুস্থমনে ধরায় বাচুক মানব প্রাণ।
প্রকৃতি সেবা করে অকাতরে দান।
মানুষ হয়ে মানুষের সেবা করতে, কাঁদেনা প্রাণ।
কত অসহায় দুঃস্ত এতিমদের অবহেলিত জীবন।
কে তাদের খবর রাখে? হে নওজোয়ান।
হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানি-রাহাজানি, কত দেখতে হবে আর?
প্রতিশোধের ক্ষেদ মিটাতে সন্তান হয়েছে বলির শিকার,
প্রেমে প্রত্যাখান হয়ে এলোপাথারি কোপে,
জীবনের সাথে পাঞ্জা লড়ছে কুমারী জুলি।
পেটের সন্তান ভূমিষ্ট না হতেই
নিষ্পাপ শিশু মাথায় খেয়েছে গুলি।
হায়রে মানবতা মুখ থুবরে কেঁদে মরে।
শয়তানের শয়তানিতে বিশ্ব গেছে ভরে।
ভাইয়ের সামনে বোনের ইজ্জ্বত হানি,
রাস্তায় পাষণ্ডের দল-মেয়েদের  করে সম্মান হানি।
নরখাদক হয়ে আর কতকাল কাটবি বল?
মানুষ হয়ে মনুষত্ববোধে বাড়াস মনবল।
ভালো মানুষের মুখোষ পরে,
রাখিস কেবলি শকুনি দৃষ্টি ভরে।
জন্ম নিয়ে মাতৃগর্ভে
কাটিয়েছিস কত আদর যত্নে।
শিশু সুলভ মনে শিশু তরতরে বেড়ে উঠে,
আগামী দিনের বড় হওয়ার স্বপ্ন হৃদয়ে ফুটে।