চির নিদ্রায় শায়িত বিচারপতি টি এইচ খান

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার নিজ গ্রামে সাবেক মন্ত্রী, বিচারপতি তোফাজ্জাল হোসেন খানকে (টি এইচ খান) সমাহিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে তৃতীয় ও চতুর্থ জানাজা শেষে হালুয়াঘাট উপজেলার বিলডোরার ঔটি গ্রামে এই প্রবীণ আইনজীবীকে সমাহিত করা হয়।
গত রবিবার বিকাল ৫টার দিকে রাজধানীর শ্যামলী স্পেশালাইজড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১০২ বছর। তিনি সাবেক মন্ত্রী ও এমপি ছিলেন। তিন ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। ২০১১ সালে তিনি বিপত্নীক হন।
বিচারপতি টি এইচ খান নামে তিনি সমধিক পরিচিত হলেও তার প্রকৃত নাম তাফাজ্জাল হোসেন খান। টি এইচ খান ১৯৬৮ সালে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে যোগ দেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ তিনি হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
এরপর ১৯৭৩ সালের জুলাই মাস থেকে আইন ব্যবসায় ফিরে আসেন। ১৯৭৪ সালে তিনি প্রথমবারের মতো সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালে তিনি পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিএনপি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮১ সালের ১৫ নভেম্বর আইন, শিক্ষা, ধর্ম, ভূমি ও রাজস্ব এবং ক্রীড়ামন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।
এরপর ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ এরশাদের নেতৃত্বে নতুন সামরিক আইন জারি করা হয়। তখন তিনি আইন পেশায় ফিরে যান। ১৯৮৬ সালে এরশাদের নির্বাচনে বিরোধিতা করার জন্য গ্রেফতার হন তিনি।
বিচারপতি টি এইচ খান ১৯৯২ সালে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি ২০১১ সাল পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করেন।