জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালাস পেলেন খালেদা জিয়া

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালাস পেলেন খালেদা জিয়া

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ১০ বছরের সাজা থেকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টের রায় বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্য আসামিরাও সাজা থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদসহ আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতি সর্বসম্মতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। হাইকোর্টের সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল মঞ্জুর করে সর্বোচ্চ আদালত এ রায় দেন।

রায়ে আদালত বলেন, “প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে এই মামলা করা হয়েছিল।”

এর আগে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বিচারপতির একটি বেঞ্চে এই মামলার আপিল শুনানি শেষ হয়। রায় দেওয়ার জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করা হয়।

এই মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার। একই সাজা হয়েছিল দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানেরও। রায়ে সব আসামির খালাসের প্রত্যাশা করেন দলটির আইনজীবীরা।

তারা দাবি করেন, জিয়া পরিবারকে হেনস্তা করতেই বিচারের নামে প্রহসন করেছে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।

রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য ছিল, ধারণার ভিত্তিতে কাউকে সাজা দেওয়া ঠিক হয়নি। আর দুদকের অবস্থান ছিল, মামলার নথিপত্র ও সাক্ষ্যপ্রমাণে কোথাও বেগম জিয়াসহ অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি কিংবা বিশ্বাসভঙ্গের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

মঙ্গলবার খালাস চেয়ে শুনানি করেন আরও এক আসামি কাজী সলিমুল হকের আইনজীবী। এভাবে শেষ হয় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার আপিল শুনানি।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলা হয়। ওই সময় অভিযোগ ছিল, তার নেতৃত্বে এই ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। আদালতে এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর এই মামলা নিয়ে দেশে এবং আন্তর্জাতিকভাবে নানা রাজনৈতিক ও আইনি আলোচনা শুরু হয়।