ট্রায়ালে ফিরেছে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন

ট্রায়ালে ফিরেছে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন

এক স্বেচ্ছাসেবী অসুস্থ হয়ে পড়ায় বন্ধ রাখা হয়েছিল যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা যৌথভাবে করোনার যে টিকা তৈরি করছে তার তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল।

 আবারও ভ্যাকসিনটি চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়ালে ফিরেছে বলে যুক্তরাজ্যের মেডিসিন হেলথ রেগুলেটরি এজেন্সি (এমএইচআরএ) বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছে।

এক বিবৃতিতে অক্সফোর্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যুক্তরাজ্য জুড়ে ক্লিনিক্যাল সাইটগুলোতে করোনা ভ্যাকসিনটির ট্রায়াল চলবে।

প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল সাফল্যের সঙ্গে শেষ করে তৃতীয় পর্যায়ে এসেছিল অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন। কিন্তু এই পর্যায়ে এসে সমস্যা দেখা দেয়।

একজন ব্রিটিশ অংশগ্রহণকারী ‘অজ্ঞাত অসুস্থতায়’ পড়ায় অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল সাময়িকভাবে স্থগিত করে অ্যাস্ট্রাজেনেকা।

যত দেশে ভ্যাকসিনটির ট্রায়াল চলছে সব জায়গায়ই স্থগিত রাখা হয় এবং স্বাধীন পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির সিদ্ধান্তের পর পুনরায় ট্রায়ালে ফিরে এসেছে ভ্যাকসিনটি।

এক বিবৃতিতে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় জানায়, বিশ্বজুড়ে ১৮ হাজারের মতো মানুষ ভ্যাকসিনটির ট্রায়ালে যুক্ত আছে। বিশাল এ ট্রায়ালে কিছু মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে আমরা আশা করেছিলাম। আমরা প্রত্যেকটি কেস সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং যত্ন সহকারে এর মূল্যায়ন নিশ্চিত করা হচ্ছে। 

একটি ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে সাধারণত তিনটি ট্রায়াল হয়ে থাকে। প্রথম দুটিতে অল্প মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তৃতীয় অর্থাৎ চূড়ান্ত ধাপের ট্রায়ালে কয়েক হাজার মানুষের শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়। তাই এই ধাপটিই সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং।

অক্সফোর্ড আগে দাবি করে, প্রথম দুই ধাপের ট্রায়ালে তাদের টিকা নিরাপদ এবং কার্যকরী হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। এর সাফল্যের ওপর নির্ভর করেই এই ওষুধ বাজারে ছাড়া হবে।