সংসদ ভবনে হামলার পরিকল্পনা

সংসদ ভবনে হামলার পরিকল্পনা

রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকা ও  রাজবাড়ীতে অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’র শীর্ষ নেতাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ।

গ্রেপ্তাররা হলো আলী হোসেন ওসামা ও মোহাম্মদ সাকিব। বুধবার রাতে সাকিবকে শেরেবাংলা নগর এলাকা থেকে এবং বৃহস্পতিবার ভোরে রাজবাড়ী থেকে ওসামাকে ধরা হয়।

পুলিশের দাবি, ওসামার আহ্বানে সাড়া দিয়ে সাকিব বুধবার রাতে জাতীয় সংসদ ভবনে হামলা চালাতে গিয়েছিলেন। তাদের সদস্যের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালত এই আদেশ দেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাদের দুইজনকে আদালতে হাজির করেন। তিনি দুই আসামির ১০ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আদালত তাদের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, বুধবার রাত পৌনে ৮টার দিকে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে সাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কপাল ও বা হাতে কালো পতাকা ছিল। ডান হাতে ছিল তলোয়ার। পরে বৃহস্পতিবার ভোরে রাজবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে আনসার আল ইসলামের শীর্ষ নেতা ওসামাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের ঢাকার কাউন্টার টেররিজম কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আনসার আল ইসলামের তাত্ত্বিক নেতা মুফতি জসিম উদ্দিন রহমানি গ্রেপ্তার হওয়ার পর ওসামা সংগঠনের হয়ে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। কয়েক দিন আগে তিনি একটি ফেইসবুক পেজ খোলেন। সেখানে জাতীয় সংসদ ভবনে হামলা চালানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন। ওসামার আহ্বানে সাড়া দিয়ে জাতীয় সংসদ ভবনে ৩১৩ জঙ্গি হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল। রাতে জাতীয় সংসদ ভবনে হামলা চালানোর কথা ছিল। সেই লক্ষ্যে সাকিবও হামলা চালাতে সংসদ ভবনে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে তিনি কাউকে পাননি। সাকিব একটি বেসরকারি কলেজে স্নাতক সম্মান শ্রেণিতে পড়ে। জঙ্গি নেতা ওসামাসহ দুইজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা করা হয়েছে।