নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল এর ডেপুটি রেজিস্ট্রার রাশিদা আক্তারের নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা হাইকোর্টের

বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের ডেপুটি রেজিস্ট্রার বর্তমানে রেজিস্ট্রারের অতিরিক্ত দায়িত্বরত রাশিদা আক্তারের নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মাহমুদুল হকের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ ২১ জুন এ রায় দেন।
বাদীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার মো. ইমাম হোসেন ও অ্যাডভোকেট মো. সেলিম হাসান প্রধান। আইনজীবীরা বৃহস্পতিবার রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল এর ডেপুটি রেজিস্ট্রার বর্তমানে রেজিস্ট্রারের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনরত রাশিদা আক্তারের নিয়োগ হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণা করেছেন। হাইকোর্টের মেইন বিল্ডিং ১৩ নং কোর্টে দৈতবেঞ্চে বিচারপতি মাহমুদুল হক এবং বিচারপতি মো: মাহমুদ হাসান তালুকদার এই রায় ঘোষণা করেন। বাদীপক্ষের সিনিয়র আইনজীবী এড. মো: ঈমাম হোসেন গত ২১ জুন বুধবার সন্ধ্যায় তার চেম্বারে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন। তিনি বলেন রাশিদা আক্তারের যোগদানের সময় জাতীয় পত্রিকায় কোন বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়নি এবং উক্ত চাকরির জন্য যে ১৫ বছরের শিক্ষকতা ও প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতার প্রয়োজন ছিল তা তার ছিল না। বিজ্ঞ আদালত গত ৮ ই মার্চ কেন তার নিয়োগকে অবৈধ ঘোষণা করা হবে না মর্মে করে রুল জারি করেছিলেন। উক্ত রুলের বিপরীতে দীর্ঘ শুনানির পর বিবাদীগণ তাদের পক্ষে যুক্তি, তথ্য ও প্রমান উপস্থাপনে ব্যার্থ হওয়ায় গতকাল মহামান্য হাইকোর্ট উক্ত রুল এ্যাবসুলেট ঘোষণা করেন। বাদী পক্ষে আইনজীবী জানান রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি আসলে পরবর্তীতে কোর্টের ডাইরেকশন সহ বিস্তারিত তথ্য জানানো যাবে।
উক্ত নিয়োগে রাশিদা আক্তারের কোন পুলিশ ভেরিফিকেশন করা হয়নি ফলে তিনি নারী ও শিশু নির্যাতনসহ একাধিক ফৌজদারী মামলার আসামি থাকা সত্বেও নিয়োগ কমিটিকে ম্যানেজ করে বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের মতো রাষ্ট্রীও জনগুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে ৬ষ্ঠ গ্রেডে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েছিলেন।
নার্সিং শিক্ষা ও সেবা সেক্টরে সংশ্লিষ্টরা বলছেন হাইকোর্ট এর এই আদেশ এর মধ্য দিয়ে নার্সিং কাউন্সিলের এক কালো অধ্যায়ের সমাপ্তি হবে বলে তারা প্রত্যাশা করছেন৷