নিখোঁজদের সন্ধানে ডুবুরি দল

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় লঞ্চ থেকে লাফিয়ে পড়াদের খোঁজে অভিযান শুরু করেছে কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশের ডুবুরি দল। শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু করে তারা।
শুক্রবার দুপুরে ঝালকাঠির সহকারী পুলিশ সুপার মাহবুব হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে সকাল থেকে নদী তীরের গাবখান ধানসিঁড়ি এলাকায় দগ্ধদের স্বজনরা ভিড় করেন। দগ্ধ ৭২ জনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ২০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকিরা বরিশাল, ঝালকাঠিসহ আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে ভর্তি ৭২ জনের মধ্যে তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে এ অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক কামাল হোসেন ভূঁইয়া।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের ইঞ্জিনে আগুন লাগে। এসময় বাঁচার চেষ্টায় লঞ্চ থেকে লাফিয়ে পড়েন অনেকে।খবর পেয়ে বরিশাল, পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালকাঠির কোস্টগার্ডসহ ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন।