নিষেধাজ্ঞার পর সাগরে ধরা পড়ছে ইলিশ, কমেছে দাম

নিষেধাজ্ঞার পর সাগরে ধরা পড়ছে ইলিশ, কমেছে দাম
টানা ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে ইলিশ শিকারে নেমেছে জেলেরা। বঙ্গোপসাগরে ধরা পড়ছে প্রচুর ইলিশ। বাজারে আমদানী বাড়ছে, কমেছে দাম। তবে সাগরের ইলিশ বেশিরভাগ পটুয়াখালী এবং পাথরঘাটা ইলিশ মোকামে যাচ্ছে। বরিশালের বাজারে ইলিশের আমদানী কিছুটা কম বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আকারভেদে ৪০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকায় ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে। শনিবার বরিশালের বাজারে ৪০০-৫০০ গ্রামের প্রতি কেজি সাগরের ইলিশ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছ। ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি। তবে নদীর ইলিশের দাম আরও একটু বেশি। বরিশাল ইলিশ মোকামের ব্যবসায়ী রকিব হোসেন জানান, সাগরে মাছ ধরা শুরু হলেও বরিশালের বাজারে তার প্রভাব তেমন পড়ে না। কারণ সাগরের মাছ বেশিরভাগ পটুয়াখালী এবং পাথরঘাটা মোকমে বিক্রি হয়। সাগরে মাছ ধরা বন্ধের সময় ৮০০ থেকে ১০০০ মন মাছ বরিশাল মোকামে এসেছে। বর্তমানে নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ার পর বরিশাল মোকামে ১০০০ থেকে ১৫০০ মন মাছ আমদানী হচ্ছে। তবে সারা দেশে মাছ ধরা পড়ায় মাছের দাম কমেছে। গতকাল মোকামে ১৮০০০ টাকা মন ইলিশ বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে ৪০০ গ্রাম থেকে আধা কেজি ওজনের মাছ ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছে। পটুয়াখালীর মহিপুর মৎস্য বন্দরের হৃদয় ফিশের মালিক আলম হাওলাদার জানিয়েছেন, মহিপুর মৎস্য বন্দর ও পাইকারি বাজারে ৪০০-৫০০ গ্রামের ইলিশ প্রতি মণ ১৪ হাজার থেকে সাড়ে ১৪ হাজার টাতকা এবং ৫৫০-৬০০ গ্রামের প্রতি মণ ইলিশ ১৯ হাজার ৫০০ থেকে ২০ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে এক কেজির বেশি ওজনের মাছে দাম ৫০ হাজার টাকার মতো। বরিশাল জেলা মৎস্য আড়তদার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অজিত কুমার দাস বলেন, নিষেধাজ্ঞার পর মাছ ধরা শুরু হওয়ায় মনে হচ্ছে বেশি মাছ ধরা পড়ছে। বাস্তবে বরিশাল ইলিশ মোকামে সেরকম মাছ আসছে না। যেহেতু সাগরের মাছ এবং নদীর ইলিশ এক সঙ্গে ধরা পড়ছে তাই আমদানী কিছুটা বেড়েছে। বরিশাল মোকামে গতকাল ১৩০০ মনের মতো ইলিশ বিক্রি হয়েছে। তবে ইলিশের আমদামী আরো বাড়বে। এই সময় ইলিশের দম তুলনামূলক কম থাকে।