আমার দলের অনেক মানুষ আছে যারা আমার উপর কিছুটা ক্ষুব্ধ। কারণ তারা অনেকেই ভাবে, কাকে মেয়র নির্বাচিত করলাম। দলীয় মানুষকেতো কোন কাজ দেয় না। আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলবো ধৈর্য্য হারাবেন না। আমার নগরীতে এত কাজ হবে যা বাস্তবায়ন করতে অনেককে খুঁজেও পাবো না। কাজ শুরু হোক-আপনাদের কাঙ্খিত আশা পূরণ হবে।
আজ বিকেলে নগরীর অশ্বিনী কুমার হলে অনুষ্ঠিত স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২৫ বছর পূর্তি ও রজত জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এদেশ ও মানুষের স্বাধীনতা দিয়েছেন। বর্তমানে আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এদেশের গণতন্ত্র আর উন্নয়নের জনক। তাই আমাদের দলের প্রতিটি নেতাকর্মীদের প্রধান কাজ হওয়া উচিত প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নমূলক কাজের তথ্য নিজেদের মধ্যে আটকে না রেখে দেশের তৃণমূলে পৌঁছে দেওয়া। সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, নগরীতে আমি কোন অন্যায়ভাবে কাউকে কিছু করতে দেব না। আমার প্রতি মানুষের যে ভালবাসা আছে; আমি তা কখনো নষ্ট হতে দেব না। আমি বা আমার পরিবার পালাবো না। আমরা আপনাদের সাথে নিয়ে এই শহরেই থাকবো। সুতরাং কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দর্শন ধারণ করে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে হবে। নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে দেশের জন্য কাজ করতে হবে। মেয়র হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, অনেকেই আমাকে কারও কারও ব্যাক্তিগত বা দলের মেযর মনে করেন। আমি বলতে চাই, আমি আওয়ামীলীগ ও আমার দলের শুধু মেয়র নই; আমি নগরীর সর্বস্তরের মানুষের মেয়র। তাদের সেবক। কে আমাকে ভোট দিয়েছে? আর কারা দেয়নি? সেটা এখন দেখার বিষয় না। এখন সময় উন্নয়নের কাজ করার।
বরিশাল জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত স্বেচ্ছাসেবক লীগের রজত জয়ন্তী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহানগর আহবায়ক আজিজুর রহমান শাহিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. তালুকদার মোঃ ইউনুস, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. একেএম জাহাঙ্গীর হোসাইন, মহানগর আওয়ামীগের সহ-সভাপতি এ্যাড. আফজালুল করীম। বরিশাল জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল আলম মনির, মহানগর যুগ্ম-সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন ফিরোজ।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, বিসিসি প্যানেল মেয়র গাজী নঈমুল হোসেন লিটু, প্যানেল মেয়র এ্যাড. রফিকুল ইসলাম খোকন, মহানগর আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হাসান মাসুদ বাবু।