পটুয়াখালীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি দখলের প্রতিবাদে মানববন্ধন

পটুয়াখালী সদর উপজেলার লাউকাঠী গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি জোর পূর্বক দখল করে স্থাপনা নির্মানের উদ্যোগ নিলে জমির মালিকরা বাধা দেন। সকাল ৯ টার দিকে সংঘটিত ওই ঘটনায় দখলকারিদের হামলায় কমপক্ষে ৬ জন হিন্দু নারী-পুরুষ আহত হয়।
প্রতিবাদে ভুক্তভোগী হিন্দু পরিবারের সদস্যরা দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে তাৎক্ষনিক মানব বন্ধন কর্মসূচী পালন করে। আহতরা হচ্ছে, অঞ্জনা রানী (৩৫), মিনতী রানী (৪০) পুষ্পরানী (৩৫), বিদ্যাসাগর মালি (৩৪), দিপু মালি (২৩) ও বেবি বেগম (৩৮)। বিদ্যাসাগর মালি জানান, পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত ৩.৫৭ একর জমির মধ্যে ১ একর জমি নদী ভাঙ্গনে বিলীন হলে বাকি ২.৫৭ একর জমিতে বাড়ি-ঘর, দোকান পাট তুলে বংশ পরস্পরায় ভোগ দখল করে আসছি। কিছু দিন আগে স্থানীয় ইসমাইল হাওলাদারসহ কয়েকজন ওই জমির ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে মালিকানা দাবি করে। এ নিয়ে তারা আমাদের অজ্ঞাতে আদালতে একটি মামলা দায়ের করে এবং জমির মালিকানার ডিক্রির আদেশ লাভ করেন। জানতে পেরে আমরা আদালতের ডিক্রির বিরুদ্ধে আপিল করি। মামলাটি এখনও চলমান থাকলেও শুক্রবার বেলা ৯ টার দিকে টিনের চালা তৈরি করে এবং কাঠ-বাঁশসহ প্রয়োজনীয় নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে ইসমাইল ও জাকির শেখের নেতৃত্বে শতাধিক লোক এসে বিরোধীয় জমিতে ঘর উত্তোলন শুরু করলে আমরা হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন তাদের বাধা দেই। এ সময় আগত লোকজন আমাদের চর-থাপ্পরসহ লাঠি দিয়ে মারধর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
অঞ্জনা রানী জানান, আমাদের বাপ-দাদার জমি জোর করে দখল করে তারা স্থাপনা নির্মাণ করতে চাইলে আমরা বাঁধা দেই। তারা জালজালিয়াতির মাধ্যমে জমির ভূয়া মালিকানার কাগজ তৈরি করে আমাদের উচ্ছেদ করতে চায়।
অভিযোগ অস্বীকার করে ইসমাইল হাওলাদার জানান, আমরা এ জমি কিনেছি এবং স্থাপনা নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা আদালতের ডিক্রি পেয়েছি। তবে প্রতিপক্ষ ওই ডিক্রির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছে কিনা তা আমাদের জানা নেই।
জাকির শেখ জানান, আমরা কাউকে মারধর করিনি। এ ব্যাপারে পটুয়াখালী থানার ওসি আক্তার মোর্শেদ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে। উভয়পক্ষকে থানায় ডেকে আনা হয়েছিল এবং স্থানীয় শালিসের মাধ্যমে এ বিরোধ মেটাতে উভয় পক্ষ রাজি হয়েছে।