প্রতিবাদ কর্মসূচিতে হিজলা আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১০জন আহত

প্রতিবাদ কর্মসূচিতে হিজলা আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১০জন আহত

বরিশালের হিজলা উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সংঘর্ষে উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা বেগমের স্বামী গিয়াস উদ্দিন ও শ্রমিক লীগ নেতা মনির হোসেনসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়। কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙ্গার প্রতিবাদে আয়োজিত কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে ওই সংঘর্ষ বাধে।

রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা সদর বাসস্ট্যান্ডের ভঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙ্গার প্রতিবাদ করতে গিয়ে সংঘাতে জড়িয়ে পড়া একপক্ষের নেতৃত্ব দেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ অনুসারী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ টিপু সিকদার। অপরপক্ষের নেতৃত্ব দেন স্থানীয় এমপি পংকজ দেবনাথ অনুসারী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন ঢালী। 

জানা যায়, হিজলা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দুই পক্ষে বিভক্ত হয়ে দলীয় কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে। এসব কারণে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে আয়োজিত কর্মসূচিও পৃথকভাবে হবার কথা ছিল। উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকাল ১০টায় উপজেলা সদরের বঙ্গবন্ধুর ভার্স্কয চত্ত্বরে এমপি অনুসারীদের বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল। অপরপক্ষের (পিটু সিকদার গ্রুপ) কর্মসূচি ছিল সকাল ১১টায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে।

এমপি অনুসারী উপজেলা চেয়ারম্যান বেলায়েত ঢালী বলেন, নির্ধারিত সময়ে সমাবেশ করার জন্য এমপি অনুসারীরা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য চত্ত্বরে জড়ো হতে থাকেন। কিন্তু অপর পক্ষ নির্ধারিত সময়ের আগে সকাল ১০টার দিকে মিছিল নিয়ে এসে এমপি অনুসারীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এমপির অনুসারীরা অপ্রস্তুুত থাকায় তাৎক্ষণিক হামলা প্রতিরোধ করতে না পেরে দৌড়ে আত্মরক্ষা করে। হামলায় উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা বেগমের স্বামী গিয়াস উদ্দিন ও শ্রমিক লীগ নেতা মনির হোসেনসহ অন্তত ১০জন আহত হয়। 

অপরদিকে হিজলা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ টিপু সিকদার বলেন, এই ঘটনার জন্য এমপি পংকজ নাথ অনুসারীরা দায়ী। তারা নির্ধারিত সমাবেশে মিছিল সহকারে যাচ্ছিলেন। সকাল সোয়া ১০টার দিকে মিছিলটি বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য এলাকা অতিক্রমকালে এমপি অনুসারীরা অতর্কিতে মিছিলের পেছনের দিকে হামলা চালায়। এ সময় এমপি বিরোধী পক্ষের প্রতিরোধের মুখে এমপি অনুসারীরা পালিয়ে যায়।

হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অসীম কুমার সিকদার জানান, আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার পর পুলিশ উভয় পক্ষকে নিবৃত্ত করে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দিয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।