প্রধানমন্ত্রীর কাছে পটুয়াখালীর শীর্ষেন্দুর চাওয়া পায়রা নদীর উপর সেতু নির্মাণে জমি অধিগ্রহণ শুরু

প্রধানমন্ত্রীর কাছে পটুয়াখালীর শীর্ষেন্দুর চাওয়া পায়রা নদীর উপর সেতু নির্মাণে জমি অধিগ্রহণ শুরু

প্রধানমন্ত্রীর কাছে পটুয়াখালীর চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শীর্ষেন্দু বিশ্বাসের চাওয়া মীর্জাগঞ্জের পায়রা নদীর উপর সেতু নির্মানে জমি অধিগ্রহণ শুরু হয়েছে। এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যে বিদেশী পরামর্শক নিয়োগ হয়েছে। এখন চলছে দরপত্র মূল্যায়নের কাজ। ঠিকাদার নির্বাচন হয়ে গেলেই সরেজমিন সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রাণালয়ের সেতু বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক। দুই দিনের সরকারি সফরের প্রথম দিনবুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় বরিশাল সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। 


সেতু সচিব আরও বলেন, সেতুটি সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে নির্মাণ করা হচ্ছে। এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৪২ কোটি টাকা। সেতুটির দৈর্ঘ্য হবে ১ হাজার ৬০০ মিটারের বেশী। ২০২৫ সালে সেতুটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। বেতাগী-কচুয়া সড়কের পায়রা নদীর মীর্জাগঞ্জ পয়েন্টে এই সেতু নির্মিত হলে পটুয়াখালী এবং বরগুনার মধ্যে সড়ক যোগাযোগ সহজ হবে এবং এক ঘন্টারও বেশী সময় বাঁচবে। 

২০১৬ সালের ১৫ আগস্ট পটুয়াখালীর জুবলী সরকারি বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শীর্ষেন্দু বিশ্বাস নিজের স্কুলে বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎ বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে মীর্জাগঞ্জের পায়রা নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি চিঠি লেখেন। চিঠি পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে শীর্ষেন্দুর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় ওই বছর ৭ সেপ্টেম্বর। পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে শীর্ষেন্দুকে একটি ফিরতি চিঠি দিয়ে পায়রা নদীর উপর মীর্জাগঞ্জে একটি সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। সেই ধারাবাহিকতায় এখন চলছে সেতুর জমি অধিগ্রহণের কাজ। 
এই সফরে মীর্জাগঞ্জে পায়রা সেতু নির্মানে জমি অধিগ্রহণের অগ্রগতি পরিদর্শন ছাড়াও বরিশাল-মুলাদী-হিজলা সড়কের আড়িয়ালখাঁ নদীর মীরগঞ্জ পয়েন্টে একটি প্রস্তাবিত সেতু এলাকা পরিদর্শনের কথা রয়েছে সেতু বিভাগের সচিব এবং প্রধান প্রকৌশলীর।
##