প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা হলে ঢুকতে না পেরে দুই শতাধিক পরীক্ষার্থীর বিক্ষোভ

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা হলে ঢুকতে না পেরে দুই শতাধিক পরীক্ষার্থীর বিক্ষোভ
নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত না হওয়ার অভিযোগ তুলে দুই শতাধিক পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় কেন্দ্রে প্রবেশের দাবিতে তারা বিক্ষোভ করেন এবং ফটক ঠেলে ভেতরে প্রবেশ করেন। পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে বলে অভিযোগ করেছেন বঞ্চিত পরীক্ষার্থীরা। তবে নির্দিষ্ট সময়ে না আসায় তাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল শুকবার বৈরী আবহাওয়ার কারণে নগরের সরকারি বরিশাল কলেজ কেন্দ্রে দুই শতাধিক পরীক্ষার্থী ১০টার দিকে কেন্দ্রের সামনে উপস্থিত হলে তাদের হলে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরিশাল নগরীর ৩২কেন্দ্রে একযোগে শুরু হয় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা। প্রবেশ পত্রের শর্ত অনুযায়ী পরীক্ষা শুরুর এক ঘন্টা আগে কেন্দ্রে প্রবেশ করার কথা। কিন্তু গতকাল সকাল সাড়ে সাতটা থেকে বৃষ্টি শুরু হলে দুর্ভোগে পরে পরীক্ষা দিতে আসা প্রার্থীরা। বৈরী আবহাওয়ার কারণে অনেক কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের পৌঁছাতে দেরী হয়। সরকারি বরিশাল কলেজ কেন্দ্রে দুই শতাধিক পরীক্ষার্থী ১০টার দিকে কেন্দ্রের সামনে উপস্থিত হয়। এ সময় দায়িত্বরত কর্মকর্তারা নির্ধারিত সময়ের পরে আসায় তাদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেননি। এ কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন তারা। এক পর্যায়ে তারা সরকারি বরিশাল কলেজ কেন্দ্রের প্রধান ফটক ঠেলে কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করেন। পরে পুলিশ তাদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। পরীক্ষার্থীদের অভিযাগ, নির্ধারিত সময়ের পরে আসলেও তারা পরীক্ষা শুরু আধাঘন্টা আগে কেন্দ্রের সামনে পৌছান। এসময় পরীক্ষার্থীর সঙ্গে বিমাতাসুলভ আচরণ করে প্রশাসন। তাদের হলে ঢুকতে না দিয়ে উল্টো তাদের লাঠিপেটা করে কেন্দ্রের বাইরে পাঠিয়ে দেন। হাফিজা, উর্মি ও রিয়াজ শরীফ জেসমিন আক্তারসহ অনেক পরীক্ষার্থী জানায়, বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও পরীক্ষা শুরুর আধাঘন্টা আগে কেন্দ্রে উপস্থিত হন তারা। কিন্তু কর্মকর্তরা তাদের হলে প্রবেশ করতে দেননি। এতে তাদের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়। তাদের জীবন থেকে একটি বছর হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ কারণে তারা কেবল সরকারি বরিশাল কলেজ কেন্দ্রে পুনরায় পরীক্ষা গ্রহণ করা দাবি করেছেন। একই সঙ্গে যেসব কর্মকর্তারা তাদের ওপর চরাও হয়েছেন সেই অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের শাস্তি দাবি করেন। মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁঞা বলেন, সকাল সাড়ে ১০টায় পরীক্ষা শুরুর এক ঘন্টা আগে হলে প্রবেশের নিয়ম রয়েছে। কিছু পরীক্ষার্থী নির্ধারিত সময়ের পর এসে হলে প্রবেশ করতে চাইলে কর্তব্যরত কর্মকর্তারা তাদের হলে ঢুকতে দেননি। এ নিয়ে তারা উত্তেজিত হলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। তাদের ওপর লাঠিচার্জ করার অভিযোগ সঠিক নয়। বরিশাল জেলার ১০ উপজেলায় ২০০ শূন্য পদের বিপরীতে নগরীর ৩২টি কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬২ হাজার।