প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় স্কুলছাত্রীকে অপহরণ

বরিশালের মুলাদী উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের চিঠিরচর গ্রামে প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় আয়শা আক্তার নামে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বখাটেদের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে বখাটে হাসান ঘরামী ওরফে হাসু দুইটি মোটরসাইকেলে তার সহযোগীদের সহায়তায় আয়শাকে তুলে নিয়ে যায়। এসময় আয়শার সহপাঠীরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে বখাটেরা তাদেরও মারধর করে।
অপহৃত আয়শা বাটামারা ইউনিয়নের চিঠিরচর গ্রামের জামাল হাওলাদারের মেয়ে এবং চিঠিরচর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ১ নম্বর রোলধারী শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত হাসান ঘরামী একই এলাকার শাহানাজ ঘরামীর ছেলে।
আয়শার বাবা জামাল হাওলাদার জানান, বখাটে হাসান ঘরামী ওরফে হাসু গত কয়েক মাস ধরে আয়শাকে প্রেমের প্রস্তাবসহ বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করে আসছিল। আয়শা প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে হাসান ঘরামী তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু মেয়ে নাবালিকা হওয়ায় বিয়ে দিতে রাজি হননি তিনি। এর জের ধরে শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রাইভেট শেষে আয়শা সহপাঠিদের সাথে বাড়ি ফেরার পথে হাসান তার সহযোগীদের সহায়তায় আয়শাকে অপহরণ করে।
তিনি আরও বলেন, আয়শাকে তুলে নেওয়ার সময় বান্ধবীরা বাধা দিতে চেষ্টা করলে বখাটেরা তাদের মারধর করে। এ ঘটনার পর স্থানীয় চৌকিদার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে বখাটে হাসানের অভিভাবকদের জানিয়ে মেয়েকে ফেরত দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। কিন্তু শনিবার বিকেল পর্যন্ত তার মেয়েকে তারা ফেরত দেয়া হয়নি।
এ ঘটনায় শনিবার সকালে ছাত্রীর বাবা জামাল হাওলাদার বাদী হয়ে বাটামারা সেলিমপুর পুলিশ ক্যাম্পে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে এখন পর্যন্ত অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধারে পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেন আয়শার বাবা।
সেলিমপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এএসআই আক্তার হোসেন জানান, ওই ছাত্রীর বাবাকে থানায় মামলা দায়ের করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মুলাদী থানা পুলিশের ওসি জিয়াউল আহসান জানান, এ ঘটনায় থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়নি। ছাত্রীর অভিভাবকদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন তিনি।