বরগুনায় জমা টাকা আত্মসাৎ করায় ডাক্তারের বিরুদ্ধে মামলা

জমাকৃত টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে ডাক্তারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ভুক্তভুগি আবদুল্লাহ আল মামুন। বরগুনার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ মাহবুব আলম বৃহস্পতিবার মামলাটি গ্রহন করে বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
আসামী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের , ক্লিনিক্যাল আনকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাক্তার মো: মামুন অর রশিদ। তার গ্রামের বাড়ী বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার মানিকখালী গ্রামে।
জানা যায়, বাদী আবদুল্লাহ আল নোমান তার স্ত্রী লায়লা আক্তার পপিকে ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর রেজিস্ট্রি তালাক দেয়। পপির বাবা মহিউদ্দিন পান্না মেম্বর জোর করে নোমানের বসত বাড়ী দখল করে নেয়। নোমানের পরিবার ডাক্তার মামুন অর রশিদের শরনাপন্ন হয়। নোমান ও তার সাবেক স্ত্রীর বাবা মহিউদ্দিন পান্নার সঙ্গে ডাক্তার মামুন অর রশিদের বাড়ীতে ২০১৯ সালের ২০ জুলাই সকাল ১০ টায় আপোস বৈঠকে বসেন। এ সময় ডাক্তার মামুন অর রশিদ নোমানের নিকট থেকে নগদ ৪ লাখ টাকা ও ৯ লাখ টাকার পৃথক তিনখানা চেক নেয়। ডাক্তারের পরামর্শ ছিল উভয় পক্ষের মধ্য একাধিক মামলা রয়েছে সেই মামলা তুলে নিবে। ডাক্তার টাকা ও চেক গ্রহন করে নোমানকে লিখিত প্রাপ্তি স্বীকার দেয়। নোমান টাকা জমা দেওয়ার পরেও তার সাবেক স্ত্রী লায়লা আক্তার পপি নোমানের বিরুদ্ধে পারিবারিক মামলা করে। সেই মামলায় নোমান এ বছর ৯ জানুয়ারী জেল হাজতে যায়।
আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, আমি ২০১৯ সালে ডাক্তারের নিকট ৪ লাখ টাকা ও ৯ লাখ টাকার চেক জমা দেওয়া সত্বেও চার বছর পর্যন্ত টাকা ও চেক ডাক্তার নিজের কাছে রাখেন। আমি জেল থেকে বের হয়ে ১৪ জানুয়ারী ডাক্তার মামুন অর রশিদের কাছে টাকা ও চেক চাইলে তিনি টাকা ও চেক নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে ডাক্তার বলেন, টাকা ও চেক আমার কাছে জমা আছে। আমার বিরুদ্ধে যখন মামলা হয়েছে তখন আমি আদালতে টাকা ও চেক জমা দেব। কেন এতদিন টাকা দিলেন না। জানতে চাইলে তিনি বলেন, শালিস বৈঠকে যারা ছিল তারা আমাকে টাকা দিতে বলেনি।