বরগুনায় ৪০ মাদকাসক্ত ও ব্যবসায়ীর আত্মসমর্পণ, ফুল দিয়ে বরণ করলেন ডিআইজি

বরগুনায় ৪০ মাদকাসক্ত ও ব্যবসায়ীর আত্মসমর্পণ, ফুল দিয়ে বরণ করলেন ডিআইজি


বরগুনা জেলায় ৪০ জন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবী আত্মসমর্পণ করায় তাদের ফুল ও উপহার দিয়ে বরন করে নিয়েছে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ শফিকুল ইসলাম বিপিএম(বার)। এর পরপরই আত্মসমর্পনকারী মাদকাসক্ত ও ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় করেন রেঞ্জ ডিআইজি।

গতকাল মঙ্গলবার ১৯ জানুয়ারি বরগুনা পুলিশ লাইনসে অনুষ্ঠিত মাদকসেবীও ব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পণ পূর্বে আত্মসমর্পণকৃতদের বিকল্প পন্থায় পারিবারিক বিরোধ নিষ্পত্তিকৃত দম্পতিদের সাথে মতবিনিময় করেন বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ শফিকুল ইসলাম। এছাড়াও তিনি বরগুনা জেলা পুলিশের অফিসার সাথে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং বিট পুলিশিং সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন।

অনুষ্ঠানে নতুন করে ৪০ জন মাদক ব্যবসায়ী ও সেবী আত্মসমর্পণ করেন। ডিআইজি তাদের ফুল ও উপহার সামগ্রী প্রদান করে আলোর পথে বরণ করে নেন। এসময় বরিশাল রেঞ্জ মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, আত্মসমর্পণের কারণে সমাজে মাদকের বিস্তার রোধ হচ্ছে। বরিশাল বিভাগেই পর্যন্ত ৪৪৬ জন মাদকসেবী নিরাময় কেন্দ্রের মাধ্যমে সুস্থ হয়ে সমাজের সুস্থ স্রোতধারায় মিশেছে।

মাদক ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দিয়ে ডিআইজি বলেন, ‘মাদক ব্যবসায়ীদের জায়গা হবে জেলখানা।' আত্মসম্পর্নকৃত মাদকসেবীদের সমাজে পুনর্বাসনের জন্য বরগুনায় তাদের নিয়ে গঠিত সমিতি “নব দিগন্ত” এর মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থার করা হবে। উক্ত  সমিতির মাধ্যমে তাদেরকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের কাজ, সেলাইয়ের কাজ, বিদ্যুতের কাজ, মোবাইল সার্ভিসিং, ফ্রিজ ও এসি মেরামত, মৎস্য চাষ, কৃষি উৎপাদন , গবাদি পশু ও হাঁঁস-মুরগী পালন ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও ঋণ গ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়।

ডিআইজি ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টার বরগুনার মাধ্যমে বিকল্প পন্থায় পারিবারিক বিরোধ নিষ্পত্তিকৃত ২০ জন দম্পতিকে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করেন।

বরগুনা পুলিশ সুপারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বরগুনা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

মতবিনিময় সভার পূর্বে ডিআইজি বরগুনা জেলা পুলিশ লাইনসে অনুষ্ঠিত প্যারেডে অভিবাদন  গ্রহণ শেষে বরগুনা রিজার্ভ অফিস সহ পর্যায়ক্রমে পুলিশ অফিস ও জেলা বিশেষ শাখা বার্ষিক পরিদর্শন করেন।

প্যারেড পরিদর্শনকালে ডিআইজি করোনাকালীন পুলিশের সাহসী ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে পুলিশ যে গণমানুষের বন্ধু হয়ে কাজ করতে পারে সে কথা ব্যক্ত করেন।রেঞ্জের প্রতিটা থানাকে নাগরিকসেবা বাস্তবায়নের রোলমডেল হিসেবে দেখতে চান। থানায় আগত সেবাপ্রার্থীদের সাথে পুলিশের আচরণ কেমন হবে, কিভাবে তা আরো আধুনিক ও মার্জিত করা যায় সেসব কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশকে অপ্রতিরোধ্য হবার নির্দেশনা প্রদান করেন।

এছাড়া সততা, স্বচ্ছতা, ন্যায়নিষ্ঠা ও কর্তব্যপরায়নতার সাথে প্রতিটি পুলিশ সদস্যকে কাজ করে যাওয়ার জন্য প্রধান অতিথি মহোদয় তাদেরকে নির্দেশ প্রদান করেন।