বরগুনা হানাদার মুক্ত দিবস পালন

বরগুনার বামনা থানা হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বামনা প্রেসক্লাব ও শুভ সংঘের আয়োজনে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়।
কর্মসূচির শুরুতে আজ রবিবার সকাল নয়টায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স থেকে একটি বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে পুনরায় সেখানে শেষ হয়। শোভাযাত্রাটির নেতৃত্বদেন বামনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা সুলতানা। এতে মুক্তিযোদ্ধামহ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
পরে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেন, বামনা উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি মোশাররফ হোসেন জমাদ্দার, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার সুবেদর অবসরপ্রাপ্ত মো. তোফায়েল হোসেন, বরগুনার সদরের যুদ্ধকালীন কমান্ডার আলহাজ্ব আ. সত্তার খান, পিরোজপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মির্জা জহুরুল হক, প্রেসক্লাব সাধারণ ও বামনার সদস্য নাসির মোল্লা প্রমূখ। সভা পরিচালনা করেন জেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি হেমায়েত হোসেন মোল্লা ও বামনা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোর্শ্বেদ শাহরিয়া গোলদার ।
বক্তারা বলেন, ২৪ নভেম্বর ভোর রাতে মুক্তিকামী যোদ্ধারা পাকিস্থানীদের হাত থেকে বামনা কে মুক্ত করার জন্য থানা ভবনে আক্রমন করা হয়। থানার অভ্যান্তর থেকে পুলিশ ও রাজাকার বাহিনী প্রচন্ড ভাবে তাদেরকে প্রতিহত করার চেষ্টা চালায়, কিন্তু অদম্য মুক্তিযোদ্ধারা থানার উত্তর দিকে আকনবাড়ির বাগান ও দক্ষিণ দিকে সারওয়ারজান হাইস্কুল ও পশ্চিমে সদর মসজিদের চারদিকে একটি বেষ্টনী বলয় গড়ে থানাকে লক্ষ্য করে মুক্তিযোদ্ধারা তুমুল বেগে গুলি চালায়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নায়েক আমীর হোসেন থানা ভবনে দিকে কয়েকটি গ্রেনেড ছুড়ে মারলে পুলিশ ও রাজাকার বাহিনীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। এর কিছুক্ষণ পরই তারা অদম্য শক্তির কাছে পিছু হটে বাধ্য হয়ে পাক সেনারা আত্মসমর্পন করে। এসময় কয়েকজন রাজাকার ও পাকিস্তানী সেনা এ যুদ্ধে নিহত হয়। ওই দিনই বামনা থানার পতাকা স্তম্ভে উল্লাসিত মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকা উত্তোলন করে বিজয় উল্লাস করে বামনা শত্রু মুক্ত করে।
ভোরের আলো/ভিঅ/০৩/১২/২০২০