বরিশাল জেলা ও মহানগরীতে বসেছে ২২ হাট

বরিশাল জেলা ও মহানগরীতে বসেছে ২২ হাট


বরিশালে অনলাইন গুরুর হাটে ক্রেতাদের সাড়া নেই। গত ২৫ জুন ১০ হাজার পশুর ছবি ও বিক্রেতার নাম ঠিকানা আপলোড করা হয়। কিন্তু ১৯ দিনে বিক্রি হয়নি কোন পশু। এই কয়েক দিনে ৭টি গরু কেনা বেচার কথা হয়েছে মাত্র। এদিকে বরিশালে করোনার মধ্যেও স্বশরীরে হাটে উপস্থিত হয়ে পশু কেনায় আগ্রহ রয়েছে ক্রেতাদের।

গতকাল বুধবার বিকেল পর্যন্ত বরিশাল মহানগরী এবং জেলায় মোট ২২টি গরুর হাটের অনুমোদন দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

বরিশাল জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নুরুল আলম জানান, সরকারি নির্দেশনা অনুসারে জেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তর ‘অনলাইন কোরবানীর হাট বরিশাল’ নামে একটি অনলাইন পশুর হাট চালু করে গত ২৫ জুন। গত ১৯ দিনে এই হাটে মোট ১০ হাজার গরু ও ছাগলের ছবি ও বিক্রেতার নাম আপলোড করা হয়। কিন্তু একটিও বিক্রি হয়নি বলে গতকাল বুধবার বিকেলে তিনি নিশ্চিত করেছেন। 

ডা. নুরুল আলম আরও জানান, বরিশালে কোরবানীর পশু ক্রেতার মূলত স্বশরীরে হাটে উপস্থিত হয়ে দেখে শুনে দরদাম করে পশু কিনতে আগ্রহী। এ কারণে অনলাইনে পশু বিক্রিতে তেমন সারা পাওয়া যাচ্ছে না। ক্রেতারা মূলত হাটের জন্য অপেক্ষা করছেন।  

এদিকে সদর উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার জানান, সদর উপজেলা থেকে সরকারি অনলাইন হাটে ১ হাজার ৮৫৭টি গরু ও ২৪৩টি ছাগলের ছবি আপলোড করা হয়। কয়েকজন মানুষ অনলাইনে আলাপ আলোচনা করে কেনার জন্য পশু নির্বাচন করে রেখেছেন। লেনদেন হয়নি এখনও। 

এ ব্যাপারে আলাপকালে জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার বলেন, করোনকালে সরকারি নির্দেশনা অনুসারে অনলাইনে পশুর হাট শুরু হয়েছিলো বেশ কিছু দিন আগেই। অনলাইনে সাড়া তুলনামূলক কম। তিনি করোনা সংক্রমণ রোধে ক্রেতাদের সরকারি অনলাইন পশুর হাট থেকে পশু নেতার আহ্বান জানান।

অপরদিকে গতকাল বুধবার বিকেল পর্যন্ত বরিশাল মহানগরী এবং জেলায় মোট ২২টি গরুর হাটের অনুমোদন দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এর মধ্যে মহানগরীতে করোনার কারণে মাত্র দুটি হাটের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। একটি নগরীর কাউনিয়া বিসিক রোডের বটতলা এলাকায় এবং অপরটি নগরীর রূপাতলী শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত (দপদপিয়া) সেতুর ঢালে। অপর ২০টি হাট বসছে জেলার ১০ উপজেলায়। 

বরিশাল স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক শহীদুল ইসলাম জানান, এবার করোনার কারণে যাচাই-বাছাই করে পশুর হাটের অনুমোদন দেয়া হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের চাহিদাপত্র অনুযায়ী জেলা প্রশাসন থেকে পশুর হাটের অনুমোদন দেয়া হয়। 

জেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তর সূত্র জানায়, জেলায় ৪ হাজার ২২৬টি বড়-ছোট পশুর খামার রয়েছে। এতে পশু মজুদ রয়েছে ৪৬ হাজার ৬১৯টি। এর মধ্যেও ৩৮ হাজার ৩৯৫টি গরু এবং ছাগল ৮ হাজার ২২৪টি।