বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালযয়ের দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রচার এবং অপর এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর অভিযোগে পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন করেছে দুই পক্ষ।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে মানহানি ও চাঁদাবাজি করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও জগ্রত তারুণ্য নামে একটি সংগঠন। অন্যদিকে সাংবাদিক নিগ্রহের অভিযোগ তুলে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের ব্যানারে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও জগ্রত তারুণ্য নামে একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী শফিক মুন্সী এবং ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী খাইরুল ইসলাম সোহাগের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
অন্যদিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে মানববন্ধন থেকে স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন ‘জাগ্রত তারুণ্য’ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. শাহ্বাজ মিঞা শোভনের বিরুদ্ধে সাংবাদিক নিগ্রহের অভিযোগ আনা হয়।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে মানববন্ধনে এসব অভিযোগ করেন জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত সামাজিক সংগঠন জাগ্রত তারুণ্যের প্রতিষ্ঠাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী শাহবাজ মিয়া শোভন।
বৃহষ্পতিবার বেলা ১১ টায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মূল ফটকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে মানববন্ধন করেন শফিক মুন্সী।


অশি^নী কুমার হলের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে শাহবাজ মিয়া শোভন বলেন, চাঁদা চেয়ে না পেয়ে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও মানহানীকর সংবাদ প্রকাশ করায় ক্যাম্পাসের হলুদ সাংবাদিক খাইরুল ইসলাম সোহাগ ও শফিক মুন্সীর কঠোর বিচারের দাবিতে আজকের এই মানববন্ধন কর্মসূচি। শফিক মুন্সী ও তার কুচক্রিমহল সাংবাদিকতার নামে অনৈতিকভাবে অসত্য সংবাদ করার  ভয় দেখিয়ে অনেক দিন ধরে চাঁদা দাবি করে আসছিল। চাঁদা না পেয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে। এই চক্রটি চাঁদাবাজির একটি নতুন সংজ্ঞা আবিস্কার করেছেন। মিষ্টি খেতে ৫ হাজার টাকা চেয়েছিল তারা। আমি একজন ছাত্র, এত টাকা দিতে না পারায় আমার বিরুদ্ধে মনগড়া তথ্য প্রচার করেছে। 


বিশ্ববিদ্যালয়ে সে সকলকে একধরণের জিম্মি করে রেখেছে। যার সকল তথ্য উপাত্ত ও প্রমাণ সাংবাদিক মহল ও যথাযথা কর্তৃপক্ষকে আমরা দিয়েছি এবং শফিক মুন্সী, সোহাগ ও তাদের কুচক্রিমহল আমাকে নিয়ে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও অসত্য ভিত্তিহীন তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে মানহানী ও সাইবার বুলিং এর মাধ্যমে হেনাস্তা করে আসছে। আমি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।


এদিকে জাগ্রত তারুণ্যের মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবোদে বেলা ১১ টায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মূল ফটকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে মানববন্ধনে শফিক মুন্সী বলেন, শাহবাজ মিয়া সোভন কর্তৃক যেসব অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দেওয়া হয়েছে এবং সংবাদ সম্মেলনের নামে যা উত্থাপন করা হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা। এগুলো সাংবাদিক নির্যাতনের শামিল। একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে হয়রানি ছাড়া আর কিছুই না।
এসময় শোভনকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তিনি বলেন, যতদিন পর্যন্ত মিথ্যা অভিযোগের ব্যাপারে ক্ষমা না চাইবে ততদিন পর্যন্ত শাহবাজ মিয়া শোভনকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো।


অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে খাইরুল ইসলাম সোহাগ বলেন, কিছুদিন ধরে শাহবাজ মিঞা শোভনের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি সংগঠনের ক্রেস্ট ও ছবি বিনা অনুমতিতে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিলো। যার পরিপ্রেক্ষিতে আমি অভিযুক্ত ও অভিযোকারীর পূর্ণাঙ্গ বক্তব্য নিয়ে একটি সংবাদ পরিবেশন করি। সংবাদ প্রকাশের নীতিমালা মেনেই আমি সংবাদ পরিবেশন করেছি। এখানে প্রতিহিংসার বিষয় নেই। তারই জের ধরে আমার আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও মনগড়া কাহিনী দিয়ে ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করেছে যা সাংবাদিক নিগ্রহের শামিল।