বরিশালের কাঁচা মরিচ ৪০০ টাকা

বরিশালের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় হঠাৎ বেড়ে গিয়েছে। তার মধ্যে টমেটো, গাজর ও কাঁচা মরিচ গত সপ্তাহের তুলনায় চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে মুরগি ও গরুর মাংসের দাম আগে থেকেই চড়া।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) নগরীর নথুল্লাবাদ, নতুন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। সকাল থেকে নগরীতে বৃষ্টি থাকলেও স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় ক্রেতার ভিড় তুলনামূলক বেড়েছে।
বাজারে ক্রেতাদের চাপ ও ঈদুল আজহার কারণে দোকানিরা গত সপ্তাহের তুলনায় বাড়তি দাম হাঁকাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা।
কয়েকজন ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদুল আজহার ছুটি কাটাতে অনেকে বাড়ি ফিরেছে। তাই ঈদের কয়েকদিন বাজারে কিছুটা ক্রেতার চাপ থাকবে। আর এই সুযোগে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে কিছু জিনিসের দাম হঠাৎ করেই বাড়িয়ে দিয়েছে।
তবে খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, আড়ত থেকেই পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে খুচরা ব্যবসায়ীরা কিছু লাভ রেখেই পণ্য বিক্রি করছেন।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ৪০০ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০ টাকা; টমেটো ১৮০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ৭০-৮০ টাকা; গাজর ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও প্রতি কেজি ঢেড়শ ৪০ টাকা; করলা ৭০ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০-৬০ টাকা; বেগুন ৮০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ৫০-৬০ টাকা; ফুল কপি ৭০ টাকা; কাঁচাকলা ২৫ টাকা, গত সপ্তাহের তুলনায় কমেছে ৫-১০ টাকা; পেঁপে ৫০ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিল ৩৫ টাকা; কাগজি লেবুর ডজন ৩০ টাকা (ছোট), ৪০ টাকা (বড়); চিচিঙ্গা ৫০ টাকা; পটল ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে ঈদুল আজহার প্রভাব পরে নি মুরগির বাজারে । বাজার ঘুরে দেখো যায়, লেয়ার (লাল) প্রতি কেজি দাম ৩৫০ টাকা; ব্রয়লার ২০০-১৯০ টাকা এবং সোনালি ২৬০ টাকা যা গত দুই সপ্তাহ আগে ২৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
অন্যদিকে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজি দরে এবং খাসির মাংস ১ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহেও একই দরে বিক্রি হয়েছে।
এছাড়া নতুন বাজার মৌরী স্টোরে আজ মিনিকেট চাল প্রতি কেজি ৭০ টাকা; আটাশ ৫৬ টাকা; স্বর্না ৫২ টাকা; বুলেট চাল ৪৮ টাকা ও পাইজাম ৫২ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
আব্দুল হালিম স্টোরে ব্রয়লার ডিমের হালি ৪৬ টাকা, মুড়ি প্রতি কেজি ১১০ টাকা, দেশী মসুর ডাল ১৩০ টাকা, বিদেশি মসুর ডাল ৯৫ টাকা, দেশী মুগ ডাল ১১৫ টাকা, মটর ডাল ৭৫ টাকা, চিনি ১৩৫ টাকা, চিড়া ৫৫ টাকা, চিনা বাদাম ২০০ টাকা ও ছোলা বুট ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
নতুন বাজারের মুদি দোকানি মো. জাহিদ বলেন, 'স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বাজারে ক্রেতার ভীড় বেড়েছে ঠিকই। হয়তো এই সুযোগে অনেক ব্যবসায়ী, দোকানদার অথবা খুচরা বিক্রেতাদের মধ্যে কেউ কেউ দাম বাড়ানোর সুযোগ খুঁজছে।' তবে মুদি দোকানগুলোতে দাম তুলনামূলক স্বাভাবিক আছে বলে জানান তিনি।